নব্যেন্দু হাজরা: থার্ড লাইনে বিদ্যুৎ নেই, দাঁড়িয়ে পড়ল ট্রেন। সকালের ব্যস্ত সময়ে ফের শহরে মেট্রো বিভ্রাট। শেষপর্যন্ত রেকটিকে খালি করে টালিগঞ্জে পাঠিয়ে দেয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ ব্যাহত হয় পরিষেবা। ভোগান্তিতে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
[আরও পড়ুন: রামমোহন মিউজিয়ামে রহস্যজনক চুরি, তদন্তে গোয়েন্দারা]
ঘড়িতে তখন সকাল ৯টা। সকালের ব্যস্ত সময়ে কবি সুভাষ থেকে দমদমগামী মেট্রোয় ভিড় ছিল যথেষ্টই। কিন্তু নেতাজি স্টেশনে আচমকাই দাঁড়িয়ে পড়ে মেট্রো। ঘটনায় প্রাথমিক কিছুটা আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়ে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, থার্ড লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগে যে সমস্যা হচ্ছে, নেতাজি স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই তা বুঝতে পেরেছিলেন মেট্রোর চালক। কিন্তু যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই কোনওমতে ট্রেনটিকে নেতাজি স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যান তিনি। স্টেশনে পৌঁছানোর পর দাঁড়িয়ে পড়ে মেট্রোটি। প্রথমে থার্ড লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করে ট্রেন চালানোর চেষ্টা করেছিলেন মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয় নেতাজি স্টেশনে। খালি রেকটি মেরামতির জন্য টালিগঞ্জে স্টেশনে পাঠিয়ে দেয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। অফিস যাওয়ার পথে মেট্রো বিভ্রাটে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। ঘটনার পর আধঘণ্টা পর পরের মেট্রোর চেপে ফের গন্তব্যে উদ্দেশ্যে রওনা হন তাঁরা।
কিন্তু থার্ড লাইনে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটল কেন? যান্ত্রিক ক্রুটির দোহাই দিয়ে দায় সেরেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সজল কাঞ্জিলালের ঘটনার পর থেকে এখন রীতিমতো আতঙ্কে যাত্রীরা। অনেকেই বলছেন, পাতাল পথে কখন যে ঘটবে, তার ঠিক নেই। কিন্তু, দ্রুত গন্তব্যে পৌছাতে মেট্রোর যে কোনও বিকল্পও নেই! তাই মেট্রোয় যাতায়াত করতেই হয় শহরবাসীকে। সম্প্রতি দুর্ঘটনা রুখতে প্রতিটি স্টেশনে আয়না বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। দিন কয়েক আগে পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে প্রথম আয়না বসানো হয়। মেট্রো স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম যদি সোজা হয়, সেক্ষেত্রে কেবিনে বসেই আয়নার মাধ্যমে গোটা প্ল্যাটফর্মটাই দেখতে পাবেন চালকরা। কিন্তু, অনেক স্টেশনেই প্ল্যাটফর্মে তো আবার বাঁক আছে, সেক্ষেত্রে কী হবে? উত্তর জানা নেই কারও।
[আরও পড়ুন: নিউমার্কেটের পানওয়ালা রফিভক্ত, প্রিয় শিল্পীর মৃত্যুদিবসে বসালেন গান-পানের আসর]