Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিতর্কে রাজ্যপাল

পেট্রল চালিত গাড়ি নিয়ে সটান বোটানিক্যাল গার্ডেনে! দূষণ ছড়িয়ে বিতর্কে রাজ্যপাল

বি গার্ডেনে শুধুমাত্র ব্যাটারি চালিত গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করা যায়।

Governor entered into Botanical Garden driving car,raises controversy
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 3, 2019 3:03 pm
  • Updated:December 3, 2019 3:04 pm

অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে এবার নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ। প্রাতঃভ্রমণে যাওয়ার পথে পেট্রল চালিত গাড়ি নিয়ে সটান বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঢুকে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। গাছে ঘেরা পরিবেশ সুস্থ রাখতে যেখানে শুধুমাত্র ব্যাটারি চালিত গাড়ি নিয়েই প্রবেশ করা যায়, সেখানে নিজের গাড়ি চালিয়ে ঢুকে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৬.৫৮। হাওড়ার শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে যান সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পরনে জগিংয়ের পোশাক। অর্থাৎ তিনি মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছেন। রাজভবন থেকে গাড়ি নিয়ে সোজা চলে গিয়েছেন হাওড়ায়। আর নিয়মের তোয়াক্কা না করেই গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়েন বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভিতরে। তাতেই বিতর্ক উঠেছে। নিয়ম না জেনে তিনি গাড়ি নিয়ে ভিতরে ঢুকলেন কীভাবে? প্রবেশের সময় রক্ষীরা কি তাঁকে জানাননি? নাকি তা জেনেও গুরুত্ব দেননি ধনকড়? সূত্রের খবর, পরে তিনি বোটানিক্যাল গার্ডেনের কর্মী, আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেন। তাতে কি এ প্রসঙ্গে কোনও কথা হয়নি? নাকি দূষণ ছড়িয়েছেন, তা বুঝেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে গঙ্গার ধারে গাছের চারা রোপন করেন ধনকড়? প্রশ্ন হাজার, উত্তর মেলেনি এখনও।

[ আরও পড়ুন: নির্যাতনের অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা, নারী সুরক্ষায় পুলিশকে কঠোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]

তবে এদিন বোটানিক্যাল গার্ডেনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল শান্তির বার্তা দিয়েছেন। বলেন, ‘হিংসা, উগ্রতা দূর করে পশ্চিমবঙ্গ যেন একটা শান্তির স্থান হতে পারে, সেই লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। আপনারাও এগিয়ে আসুন।’ সপ্তাহখানেক আগে রবীন্দ্র সরোবর লেকে মর্নিং ওয়াকে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখান থেকে মমতা সরকারের উদ্দেশে বেশ নরমেগরমে কথা বলেন তিনি। কিন্তু বি গার্ডেনে তাঁর বক্তব্য কিছুটা ভিন্ন। রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষে ব্যথিত অনুভব করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কারও সঙ্গে কারও মতের অমিল হতেই পারে। কিন্তু তার জন্য হিংসা, সংঘর্ষ এসবের মধ্যে দিয়ে যাওয়া উচিত নয়। আমি যখন এসব শুনতে পাই, রাজ্যপাল হিসেবে খুব খারাপ লাগে। আমি সকলের কাছে আবেদন করতে চাই, শান্তির লক্ষ্যে কাজ করি। ধারাবাহিক হিংসার ঘটনা কোনও রাজ্যের নামে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সুন্দর একটি রাজ্য, সেখানে এমনটা কাম্য নয়।’

Advertisement

দেখুন ভিডিও: 

Advertisement

 

[ আরও পড়ুন: রাম মন্দির ইস্যুতে কলকাতায় সাধুসন্তদের নিয়ে ধর্ম সম্মেলন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ