রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে প্রতিশ্রুতি রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাই প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চায় উদ্বাস্তু সংগঠনগুলি। সেই মতো জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতে বাংলায় মোদি ও শাহকে উদ্বাস্তুদের দ্বারা নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। রাহুল জানালেন, সময় চাওয়া হচ্ছে দুজনের কাছে। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আলাদা করে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। উদ্বাস্তু সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করছে বিজেপি। তবে কোথায় সংবর্ধনা দেওয়া হবে সেটা ঠিক হয়নি। কলকাতাতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে দলীয় সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও সোমবার গভীর রাতে লোকসভায় পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৯। দিনের শুরুতেই সংসদে বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হলে তা আইনে পরিণত হবে। বিলটি গত লোকসভায় পাশ হলেও তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক অব্যাহত। বিলে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় পীড়নের কারণে এ দেশে শরণার্থী হিসেবে হিন্দু, পার্সি, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা আশ্রয় নিতে বাধ্য হলে, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সেখানে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা মুসলিমদের বিষয়ে কোনও উল্লেখ নেই। ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে বাঁচতে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ বলেই জানাচ্ছে সরকার পক্ষ।
[আরও পড়ুন: বুধবার রাজ্যসভায় পেশ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল! আটকে দিতে মরিয়া বিরোধীরা]
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি প্রথম মোদি সরকারের আমলেই লোকসভায় পেশ হয়। নিম্নকক্ষে তা পাশও হয়ে যায়। কিন্তু বিরোধীদের আপত্তিতে তা আর রাজ্যসভায় পেশ করা যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী, লোকসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বিলটিরও মেয়াদ ফুরায়। ফলে নতুন লোকসভায় তা আবার পেশ করা হয়। দুপুরে বিল পেশ হওয়ার, দীর্ঘ আলোচনা-বিতর্কের পর রাত ১২টার পর ৩১১-৮০ ভোটে পাশ হয়ে যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৯।