মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়ায়: হাওড়া শহরের একাধিক বাসিন্দার শরীরে মিলেছে করোনার জীবাণু। তাই আগেই ওই এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু গ্রামীণ হাওড়ায় করোনার প্রভাব এখনও খুব বেশি পড়েনি। তাই বিপদ এড়াতে আগেভাগেই গ্রামীণ হাওড়া ও শহরের সীমানা অঞ্চলগুলি সিল করে দিল হাওড়া সিটি পুলিশ।
হাওড়ার সাঁকরাইল ও ডোমজুড় এই দুই থানা আগে হাওড়া গ্রামীণের মধ্যে ছিল। সম্প্রতি এ দু’টিকে হাওড়া সিটি পুলিশের অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। বলা যায়, এই দুই থানাই হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার প্রবেশ দ্বার। সাঁকরাইলের পশ্চিম দিকে রয়েছে বাউড়িয়া থানা এলাকা। আর উত্তর-পশ্চিমে পাঁচলা থানা। ডোমজুড় থানার সঙ্গেও বিরাট যোগাযোগ রয়েছে পাঁচলা থানার। ডোমজুড়ের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে গ্রামীণ এলাকার জগৎবল্লভপুর থানার। তাই এই এলাকার কোনও লোক যাতে গ্রামীণে প্রবেশ না করতে পারে সে বিষয় নিশ্চিত করতেই এই বর্ডার সিল করল হাওড়া সিটি পুলিশ। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে খবর, দেওয়ানঘাট, কারবালা বাজার, বেলডুবি ও নলপুরের বর্ডার সিল করেছে। ডোমজুড় থানাও রাজাপুর, একব্বরপুর, আন্দুল, সলপ, কলোড়া, মহিষগোট-সহ কয়েকটি জায়গায় বর্ডার পুলিশ সিল করে দিয়েছে। মূলত পাঁচলা, বাউড়িয়ায় ও জগৎবল্লভপুর হয়ে মাধ্যমে লোকেরা হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় প্রবেশ না করতে পারে সেই কারণেই এই পদক্ষেপ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার থানাগুলো যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। অনেক বেশি তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। সোমবার সকাল থেকে বাগনান মানকুর রোডের খাজুরটি মোড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি টহল নজরে পড়েছে। প্রসঙ্গত, প্রশাসনের দাবি হাওড়ার গ্রামীণ পুলিশের এলাকা কিছুটা হলেও সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.