সুব্রত বিশ্বাস : দীর্ঘ প্রায় দু’দশক বাদে স্থানান্তরিত করা হল হাওড়া স্টেশনের সামনে প্রদর্শিত হওয়া পুরনো ইঞ্জিনটিকে। সোমবার রাতে ইঞ্জিনটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল মেট্রো কর্মীদের সহযোগিতায়। ইঞ্জিনটির নতুন ঠিকানা ডিআরএম বিল্ডিংয়ের পাশেই।
[ প্রয়াত সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক প্রবোধ পাণ্ডা ]
হাওড়ার সিনিয়র ডিএমই (পাওয়ার) উদয় কুণ্ডু জানান, দীর্ঘদিন আগে হাওড়া পুরনো স্টেশনের সামনে গঙ্গার ধারে ইঞ্জিনটি প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছিল। কিন্তু একশো বছরেরও বেশি পুরনো ইঞ্জিনটি সেখানে ভালভাবে দেখতে পেতেন না যাত্রীরা। একেবারে রাস্তার ধারে হাওয়ায় গাড়ি চলাচলের ফলে আড়ালে থেকে যাচ্ছিল পুরনো স্মৃতি বহনকারী এই ইঞ্জিনটি। তাই এটাকে পুরনো ও নতুন স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় স্থানান্তরিত করা হল। যাতে সব যাত্রীরাই দেখতে পান।
[ বাবা-মাকে খুনের চেষ্টা! পিজি-র চিকিৎসায় ‘শাপমুক্ত’ ঢাকার যুবক ]
স্মৃতির সরণি বেয়ে দীর্ঘ দু’দশক আগে হাওড়া স্টেশনের বাইরে জায়াগা পায় এই ইঞ্জিন। ইংল্যান্ডের স্টাফোর্ডে ডব্লুজি বাগনাল এন্ডং কো ইঞ্জিনটি তৈরি করে ছিল ১৯১৪ সালে। ১৯১৬ সালে ইঞ্জিনটি আহমেদপুর-কাটোয়ার মাঝে চলেছিল। নাম একে-৬। ৮.০৪ মিটার দীর্ঘ, চওড়া ২.২৮ মিটার, উচ্চতায় ৩.০৮ মিটার। ওজন ২৮.১৫ টন। ১.৮ টন কয়লা আর ২৪০০ লিটার জলে এই বাষ্পীয় শকট ৩৫ কিলোমিটার গতিতে চলত ওই শাখায়। আজ শুধুই স্মৃতি বয়ে চলেছে। তাকে ভালভাবে প্রত্যক্ষ করতেই রেলের এই ব্যবস্থা।
ইঞ্জিনটি সরানোর আগের মুহূর্তের ভিডিও, সৌজন্য প্রতিবেদক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.