Advertisement
Advertisement
Huge amount of covid vaccine to arrives in West Bengal

উৎসবের মরশুমে সুখবর, চলতি মাসেই দেড় কোটি কোভিড ভ্যাকসিন আসছে বাংলায়

ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি নাগরিক করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছেন।

Huge amount of covid vaccine to arrives in West Bengal । Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 13, 2021 11:34 am
  • Updated:October 13, 2021 11:34 am

স্টাফ রিপোর্টার: একটা সময় ছিল। ভ্যাকসিনের অপ্রতুল জোগানের ফলে অনেক জেলায় টিকাকরণ বন্ধ হতে বসেছিল। সময় বদলেছে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের লাগাতার চাপে অনেকটা নমনীয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। শুধুমাত্র অক্টোবরেই দেড় কোটি ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) রাজ্যে পাঠানো হবে।

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, সংখ্যাটা আরও খানিকটা বাড়লেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। শুধু কোভিড ভ্যাকসিন নয়। হাম, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হেপাটাইটিস-সহ পাঁচটি রোগ প্রতিরোধ করতে শিশুদের দু’টি বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়। ভ্যাকসিনের নাম পেন্টাভেলেন্ট। সপ্তমীর সকালে ৬ লক্ষ ডোজ পেন্টাভেলেন্ট ভ্যাকসিন কলকাতায় এসেছে। বিকেল থেকেই এই ভ্যাকসিন হিমায়িত গাড়িতে করে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো শুরু হয়েছে। এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, ২০১৫ সালের পর প্রথম একসঙ্গে এত বেশি শিশুদের ভ্যাকসিন পাঠানো হল। একটি ভায়াল থেকে ১০টি শিশুকে টিকা দেওয়া সম্ভব।

Advertisement

[আরও পড়ুন: Weather Update: মহাষ্টমীতে মেঘলা আকাশ, রাজ্যের ৭ জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস]

ষষ্ঠীর সন্ধেয় ৮ লক্ষ ডোজ কোভিশিল্ড বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোরে আসে। সেই ভ্যাকসিন কলকাতা-সহ পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় পাঠানো হবে। এর মধ্যেই ফের আগামী ২-৩দিনের মধ্যে আরও প্রায় ২০ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে যে বার্তা পাঠানো হয়েছে তার নির্যাস হল, যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের করোনার দু’টি ডোজের আওতায় আনা। বিশেষ করে পুজো থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হরেক রকম উৎসব আর পার্বণে মাতবে পশ্চিমাঞ্চলের নাগরিকরা। আবার শীতের সময় কোভিড সংক্রমণ বাড়ার একটা প্রবণতা দেখা যায়। তাই এই পদক্ষেপ।

Advertisement

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য অনুযায়ী, ১০ কোটি নাগরিক থাকলেও ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত প্রায় ৭ কোটি ২৫ লক্ষ। এঁদের মধ্যে আবার ৩ লক্ষ নাগরিক রয়েছেন, যাঁদের প্রথম ডোজ নেওয়া হলেও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়নি। এই নাগরিকদের খোঁজ পাচ্ছে না স্বাস্থ্য দপ্তর। ফোনে যোগাযোগ করা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নম্বর বদল হয়েছে। অথবা ঠিকানা বদল হয়েছে। ফলে এঁদের নিয়েই এখন স্বাস্থ্যকর্তাদের বেশি চিন্তা। ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি নাগরিক করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছেন। এঁদের মধ্যে দু’টি ডোজ প্রাপক প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ ৯০ হাজার। আর প্রথম ডোজ প্রাপক ৪ কোটি ৬৯ লক্ষ।

[আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীরে নতুন যুগের সূচনা’, অমিত শাহর প্রশংসায় মানবাধিকার কমিশন, পালটা মেহেবুবার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ