সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবারের মতো এবারও দুঃস্থ ও অনাথ শিশুদের সঙ্গে নিয়ে পুজো পরিক্রমায় বেরোলেন মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপণ বিভাগের অধ্যাপক ও পড়ুয়ারা। এই উদ্যোগ এবছর সপ্তম বর্ষে পড়ল। এবছর কলেজের ৭৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস। তাই ৭৭ জন দুঃস্থ শিশুকে নিয়ে চতুর্থীতেই রাজপথে নামল এসি বাস। উল্টোডাঙার কাছে শুঁড়িরবাগানের পুজোর উদ্বোধনও করল কচিকাঁচারাই। তারপর তেলেঙ্গাবাগান, চালতাবাগান, বেলেঘাটা সন্ধানী, শ্রীভূমি স্পোর্টিং ধরে বাস এগোল ধীরগতিতে। শেষে ইকো পার্কে ঘন্টাখানেক ঘুরে, খেয়েদেয়ে এই শিশুরা ফিরে গেল নিজেদের বাড়ি। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে সাংবাদিকতায় উৎকর্ষতার জন্য নিহত গৌরী লঙ্কেশ ও শান্তনু ভৌমিকের নামে জোড়া পুরস্কারেরও সূচনা হয়ে গেল ছাত্রছাত্রীদের জন্য।
বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, এই শিশুরা এসেছে মূলত হাবরার ন’হাটার শিহলপাড়া নামের এক আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম থেকে। উন্নয়নের আলো সেখানে এখনও পড়েনি। আর কয়েকজন শিশু এসেছে ‘স্বপ্ন’ নামের অনাথ আশ্রম থেকে। এই শিশুদের পুজোয় ঠাকুর দেখা হয় না কোনওবারই। চতুর্থীতে দিনভর কলকাতার বিভিন্ন পুজো দেখানোর পাশাপাশি তাদের নতুন জামাও দেওয়া হল। সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, এই উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কলেজের প্রাক্তনী এবং অধ্যাপকরা। কেউ অর্থ সাহায্য করে, কেউ জামা কিনে দিয়ে কেউ বা আবার শুধু সঙ্গে থেকেই সাহায্য করেন, বলছেন তিনি।
তাঁর বক্তব্য, ‘পুজোর কয়েকটা দিন কচিকাঁচাদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে সাংবাদিকতার পড়ুয়াদের সমাজের তৃণমূল স্তরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই আমাদের আসল লক্ষ্য। পাশাপাশি ওই গরিব শিশুদের মুখে কিছুক্ষণের জন্য হলেও একটু হাসি ফোটানো। তাই কোনও নামি স্পনসর, সংগঠিত উদ্যোগ ছাড়াই পরপর সাতবার এই উদ্যোগ সফল করতে পারলাম।’ এদিনের পরিক্রমায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তপতী বসু, পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র, শুভঙ্কর সিংহ সরকার (ডি সি নর্থ), সাংবাদিক ও অধ্যাপক উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও আলমবাজার মঠ ও মিশনের স্বামী সারদা আত্মস্থানন্দ মহারাজ-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। দাদা-দিদিদের সঙ্গে কলকাতার ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে মহাখুশি এই কচিকাঁচারাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.