সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ নিয়ে অব্যাহত কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। দু দিনের সফরে বাংলায় আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আজকের পর তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি দেওয়া হলেও মিলল না জবাব। ফলে আটকে কেন্দ্রীয় দলের পর্যবেক্ষণ।
রাজ্যকে না জানিয়েই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের দুটি দল রাজ্যে আসায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে রাজ্যের তরফ থেকে কোনও সহযোগিতা না পেয়ে অভিযোগ জানান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের (ICMT)প্রধান অপূর্ব চন্দ্র। যদিও পরে যাদবপুর পরিদর্শন করিয়ে সেই ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা চালায় রাজ্য। তবে আজও এক ধাপ বাড়ল সেই সংঘাত। দু দিনের শেষে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার সঙ্গে বৈঠক ICMT বৈঠক করতে চাইলে সেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে চিঠি দিলেও রাজ্যের তরফ থেকে এখনও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
IMCT team leader wrote a letter regarding assessment to contain #COVID19 to West Bengal Chief Secretary, there has been no response from #WestBengal’s side till now. pic.twitter.com/5x0BrKWdid
— ANI (@ANI) April 22, 2020
বাংলা ছাড়াও মুম্বই, পুণে, রাজস্থানেও ICMT-র দলকে পাঠানো হলেও সেই রাজ্যগুলির থেকে সহযোগিতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। তবে বারংবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে সাহায্য না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে। ‘প্রোটোকল’ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি দল না থাকায় পরিদর্শনে যেতে পারছেন না কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
[আরও পড়ুন:সংক্রমণ ছড়াল ৪৩০টি জেলায়, করোনা আতঙ্কে কাঁপছে দেশের ৬টি বড় শহর]
নিয়ম মত, দিনের শেষে রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের একটি বৈঠক হয়। তবে সেই বৈঠকে থাকতে হয় রাজ্যের পুলিশ আধিকারিক ও স্বাস্থ্যকর্মী-সহ চিকিৎসকদের। কারণ পুলিশ আধিকারিকরা রাজ্যের বাজার বা হটস্পটগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারবেন। রাজ্যের কোথায় হটস্পট রয়েছে তা তাঁরাই চিহ্নিত করতে পারবেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্যকর্মীরা বৈঠকে থেকে রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়েও বিস্তারিত তথ্য দিতে সক্ষম হবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে। তবে সেই বৈঠকও পিছিয়ে দেওয়ায় প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় দলের পরবর্তী পদক্ষেপ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি জারির পর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সোমবার রাজ্যে আসে। তারপর থেকেই রাজ্যে শুরু হয় সংঘাতের আবহ।