সুব্রত বিশ্বাস, হাওড়া: পিঠে পিট্টু ব্যাগ। তামাম যাত্রী ভিড়ে আলাদা করে চেনার উপায় নেই তাঁকে হাওড়া স্টেশনে। তবে কর্তব্যপরায়ণতা যখন শুরু করলেন তখন চূড়ান্ত ব্যস্ত হয়ে উঠলেন হাওড়া স্টেশনের কর্তব্যরত আরপিএফ থেকে রেলকর্মী সবাই। দৌড়-ঝাঁপ শুরু হলেও চরম গাফিলতির প্রমাণ তিনি ততক্ষণে পেয়ে গিয়েছেন। আর তা পাওয়ার পরই হাওড়া স্টেশনের কর্তব্যরত দুই আরপিএফ ইনস্পেক্টরকে লিলুয়ায় বদলি করে দেন আইজি এ কে মিশ্র।
[আরও পড়ুন- বিজেপির মিছিলে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, বিক্ষোভে উত্তপ্ত সোনামুখি]
সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন হাওড়া স্টেশনে ‘সারপ্রাইজ চেকিং‘-এ চলে আসেন পূর্ব রেলের আরপিএফ আইজি। লক্ষ-লক্ষ যাত্রীকে কতটা নিরাপদে রেখেছেন রক্ষীরা এটাই খতিয়ে দেখার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। তাই নিউ আলিপুরের বেলভেডিয়ার পার্ক থেকে সাদা পোশাকে পিঠে পিট্টু ব্যাগ নিয়ে ট্যাক্সি চেপে চলে আসেন সোজা হাওড়া স্টেশনে। তারপর চলে যান পুরনো প্ল্যাটফর্মের সিসিটিভি ক্যামেরা অপারেটিং হলে। মনিটরে দেখতে পান, যে সংখ্যক আরপিএফ কর্মী স্টেশনে কর্তব্যরত থাকার কথা সেই সংখ্যক কর্মীকে দেখা যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন-‘ক্ষমতা থাকলে বাংলায় এনআরসি করে দেখাক’, মোদিকে চ্যালেঞ্জ মমতার]
এরপরই ডিউটি রোস্টার চেক করে তিনি দেখতে পান, শনিবার এবং রবিবার ওই শিফটে যত সংখ্যক কর্মী কাজে যোগ দিয়েছিলেন, ডিউটি শেষ করে ডায়েরি করেন তার থেকে অনেক কমসংখ্যক কর্মী। এতে প্রমাণ হয়, কর্মীরা কাজে যোগ দিয়েই চলে যান। কর্তব্যে ফাঁকি দেওয়া কর্মীর সংখ্যা তিনি লিখিতভাবে সিনিয়র কমান্ড্যান্টকে দিয়ে বলেন, শনিবার দুপুর দুটো থেকে রাত দশটার শিফটে সই করে কাজে যোগ দিয়েছিলেন ৪৩ জন। কিন্তু ডিউটি শেষের পর সই করেন ২৫ জন। রবিবারও কাজে যোগ দিয়েছিলেন ৩৯ জন। কিন্তু ডিউটি শেষ হওয়ার পর সই করেন ২৪ জন। এই ধরনের ঘটনাকে চূড়ান্ত বেআইনি। এরপরই হাওড়া স্টেশনের উত্তর পোস্টের দায়িত্বে থাকা দুই ইনস্পেক্টর সতীশচন্দ্র সহায় ও এম দাসকে সঙ্গে সঙ্গে লিলুয়া রিজার্ভ পোস্টে বদলি করে দেন তিনি।