Advertisement
Advertisement
জগদীপ ধনকড়

রাজভবনের তরফে ভয় দেখানো চিঠি, ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠকে এড়াচ্ছেন ‘অপমানিত’ উপাচার্যরা

ফের বিতর্কে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

Insulted VC's to skip virtual meeting with Governor Jagdeep Dhankhar
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:July 15, 2020 11:47 am
  • Updated:August 22, 2022 3:42 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার রাজ্যপালের চিঠিতে ‘অপমানিত’ রাজ্যের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। যার ফলে আজ. বুধবার রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্যরা। এমনটাই সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের নানা সমস্যা নিয়ে পর্যালোচনার জন্য গত ৭ জুলাই উপাচার্যদের চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই চিঠিতে উপাচার্যদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। উত্তরে উপাচার্যরা জানান, রাজ্যের নয়া বিধি অনুযায়ী সেই চিঠি উচ্চশিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে তাঁদের কাছে যাওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই গত সোমবার এবং মঙ্গলবার রাজভবনের তরফে আরও দুটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্যরা। যা চূড়ান্ত অপমানজনক এবং ভীতি উদ্রেককারী বলে দাবি তাঁদের।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাজ্যের উপাচার্য পরিষদের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘গত ১৩ জুলাই মাননীয় আচার্যের কার্যালয় থেকে একটি অপমানজনক চিঠি পেয়েছেন উপাচার্যরা এবং আবার ১৪ জুলাই একটি ভীতি উদ্রেককারী চিঠি পেয়েছেন। এরকম গুরুতর জাতীয় সংকটের সময় মাননীয় আচার্যের কার্যালয় থেকে এরকম বার্তা পাওয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করছে উপাচার্য পরিষদ। নিয়ম মেনে যুক্তিযুক্তভাবে কাজ করা উপাচার্যরা মাননীয় আচার্যের কার্যালয় থেকে এরকম চিঠি পাওয়ার বিষয়টি একেবারেই কাম্য নয় বলে মনে করছেন।’ অনেকেই বলছেন, চিঠির ভাষা খুবই অপমানজনক। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ না পেলে উপস্থিত থাকার প্রশ্নই নেই বলে জানিয়েছেন উপচার্যরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্নাতক-স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা এড়াতে মধ্যস্থতা করুন রাজ্যপাল, রাজভবনে গিয়ে প্রস্তাব পার্থর]

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) কয়েকদিন আগে হঠাৎ ঘোষণা করেছে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক। পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, রাজস্থান, দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও ওড়িশা সরকার জানিয়ে দিয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। এ রাজ্যের সরকার কেন্দ্রকে জানিয়েছে, শুধু করোনা নয়, আমফান পরবর্তী অবস্থায় অনেক কলেজে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে এবং ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব ছাত্রছাত্রীর হাতে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ নেই। তার ফলে তারা অনলাইনে পরীক্ষায় বসতে পারবে না। আর করোনা সংক্রমণের কথা বিবেচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়েও পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রকাশিত মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল, সাফল্যের হারে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ