Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাজ্যপালকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব শিক্ষামন্ত্রীর

স্নাতক-স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা এড়াতে মধ্যস্থতা করুন রাজ্যপাল, রাজভবনে গিয়ে প্রস্তাব পার্থর

পড়ুয়াদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

Partha Chatterjee proposes Governor to talk to centre on UGC's new guidlines
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 13, 2020 10:20 pm
  • Updated:July 13, 2020 10:24 pm

দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনা সংক্রমণের আবহে সেপ্টেম্বরে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা যাতে এড়ানো যায়, সেই অনুরোধ করে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। উত্তর আসেনি। রাজ্য সরকার এবার রাজ্যপালকে বিষয়টি নিয়ে দৌত্যের প্রস্তাব দিল। পরীক্ষা দিতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীরা যাতে সংক্রমণের বিপদে না পড়ে, রাজভবনে বৈঠক করে তা দেখার অনুরোধ করা হল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে।

শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের অন্যান্য ৬টি রাজ্য কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা সেপ্টেম্বরে নেওয়া সম্ভব নয়। সোমবার রাজভবনে রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে এ কথা উঠে এসেছে। পরীক্ষা সংক্রান্ত UGC’র নতুন নির্দেশ যে অমানবিক ও ছাত্রছাত্রীদের জীবন নিয়ে খেলা করার নামান্তর, তা ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার নয়াদিল্লিকে জানিয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা সচিব মণীশ জৈন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও চিঠি লেখেন প্রধানমন্ত্রীকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সুখবর, করোনা আবহে বন্ধ থাকার পর খুলছে BR সিং হাসপাতালের স্পেশ্যাল ক্লিনিক]

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কয়েকদিন আগে হঠাৎ ঘোষণা করেছে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক। পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, রাজস্থান, দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও ওড়িশা সরকার জানিয়ে দিয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। এ রাজ্যের সরকার কেন্দ্রকে জানিয়েছে, শুধু করোনা নয়, আমফান পরবর্তী অবস্থায় অনেক কলেজে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে এবং ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব ছাত্রছাত্রীর হাতে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ নেই। তার ফলে তারা অনলাইনে পরীক্ষায় বসতে পারবে না। আর করোনা সংক্রমণের কথা বিবেচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়েও পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়।

Advertisement

এই সব সমস্যার কথা সোমবার রাজ্যপালকে জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ধনকড় কথা দেন, পড়ুয়াদের সঙ্গে অন্যায় হবে না। বৈঠক শেষে পার্থবাবু বলেন, “আমরা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি সুপারিশ পাঠিয়েছিলাম। সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেইমতো আগের সেমিস্টারে পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ণ হবে। আমরা অহেতুক ছাত্রছাত্রীদের সংকটে ফেলতে চাই না।” রাজ্যপাল-শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনায় এদিন ছিলেন উচ্চশিক্ষা সচিব মনীশ জৈন ও রাজ্যপালের সচিব সতীশ তিওয়ারি। প্রায় দেড় ঘন্টা আলোচনা হয় রাজভবনে। বাইরে এসে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “রাজ্যপালকে এই সংকটময় মুহূর্তে ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকতে বলেছি। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে এই প্রেক্ষাপটে তিনি নিশ্চয়ই বিচার বিবেচনা করতে বলবেন।”

[আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহেই প্রকাশিত হবে মাধ্যমিকের ফল, জেনে নিন কী জানাল পর্ষদ]

একই ইস্যুতে এদিন বৈঠক করে রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক কৃষ্ণকলি বসু জানিয়েছেন, “UGC ছাত্রছাত্রীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চাইছে। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে কেন্দ্রীয় সরকার এভাবে কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ