সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমার হাতে তরবারি দেখে বুদ্ধিজীবীদের পিলে চমকে গিয়েছে। টিএমসি-র বুদ্ধিজীবীরা এখন শান্তির বাণী প্রচার করছেন। ধূলাগড় ও বসিরহাটের দাঙ্গার সম তাঁরা কোথায় ছিলেন? ব্লক অফিসে এমএলএ-রা চেয়ার পেতে বসে আছে। পিছনে খিচুড়ি, বিরিয়ানি রান্না হচ্ছে। দুষ্কৃতী, সমাজবিরোধীরাও সেখানে আড্ডা দিচ্ছে। আশপাশে বিরোধীদের কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পার্থবাবু ববি হাকিমরা দুষ্কৃতীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমা বিরুদ্ধে নাকি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে যাবে। আমরাও যাব নির্বাচন কমিশনে প্রতিবাদ জানাতে। সমাজ বিরোধীদের সরকার চলছে পশ্চিমবঙ্গে। সরকার, পুলিশ, গুন্ডা দিয়ে রাজনীতি চলছে। এটা চলতে দেওয়া যাবে না।’ প্রেসক্লাবে বুদ্ধিজীবীদের সাংবাদিক সম্মেলনের পরেপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এভাবেই আক্রমণ শানালেন দিলীপ ঘোষ।
[রাজভবন রাজনৈতিক দলের শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে: পার্থ চট্টোপাধ্যায়]
সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলকে সমাজবিরোধীদের সরকার বললেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘পার্থবাবু কেষ্টবাবুরা বিজেপিকে দেখতেই পান না। তবে কাদের সঙ্গে তৃণমূলের মারামারি হয়? এরাজ্যে কী ধরনের গণতন্ত্র চলছে? দুর্বৃত্তদের সঙ্গে যেভাবে ব্যবহার করা হয়, তেমনই করব। বিজেপিকে দোষ দিচ্ছেন? এত তৃণমূলের মন্ত্রী বলছেন, বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে পারলে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া হবে। যদি উলটোটা হয়, তাহলে?’
‘মুখ্যমন্ত্রীও একসময় বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত নির্বাচেনর কথা বলেছেন। কিছু হলেই তো তিনি টুইট করেন। মনোনয়ন নিয়ে যে অশান্তি চলছে রাজ্য জুড়ে। এখন তিনি কোথায়? তিনি মৌনী হয়ে আছেন। নমিনেশন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বীরভূম রায়গঞ্জে গুলি চলল, বোমাবাজি হল। কই কিছু তো বললেন না তিনি। দুষ্কৃতীদের দিয়ে সরকার চালানো হচ্ছে। নমিনেশন জমা দেওয়ার পর বিডিও অফিস থেকে আমাদের প্রার্থীদের ফোন নম্বর ও ঠিকানা হাতে হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। সেই ঠিকানায় গিয়ে ফোন করে হুমকি দেওয়া হবে। যাতে প্রার্থীরা নমিনেশন প্রত্যাহার করে নেয়। এভাবেই বিরোধী শূন্য করা হবে। তৃণমূল সমাজ বিরোধীদের দল। তৃণমূলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হওয়া উচিত।’