স্টাফ রিপোর্টার: আশীর্বাদ আটায় কোনও প্লাস্টিক নেই। বুধবার আশীর্বাদ আটা নির্মাতা সংস্থা আইটিসি-র তরফে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে আশীর্বাদ আটাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ করে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। কেউ বা কারা ওই ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছিল। যে ভিডিওতে দেখানো হচ্ছিল আশীর্বাদ আটায় প্লাস্টিকের উপস্থিতির ছবি। এরপরই নড়েচড়ে বসে আইটিসি কর্তৃপক্ষ। কলকাতা ও হায়দরাবাদ পুলিশের কাছে এনিয়ে অভিযোগও জানিয়েছে আইটিসি কর্তৃপক্ষ।
কোম্পানির তরফে ওই বিবৃতিতে এদিন জানানো হয়েছে, আইটিসির প্রোডাক্টগুলি তৈরির সময় চূড়ান্ত সতর্কতা বজায় রাখা হয়। এছাড়াও সমস্ত আইনি বাধ্যবাধকতা মেনেই প্রোডাক্টগুলি বাজারে আনা হয়। কোম্পানির তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, ভিডিওতে প্লাস্টিক হিসাবে যা দেখানো হয়েছে তা আসলে আটার প্রোটিনজাত পদার্থ যার পোশাকি নাম গ্লুটেন। আর এই গ্লুটেন এফএসএসএআই স্বীকৃত একটি বস্তু। ফলত আটা, ওট, বার্লি ও আরও অনেক প্রোডাক্টে এই গ্লুটেন ব্যবহার করা হয়। জনসাধারণের ভ্রান্তি দূর করতে আইটিসির তরফেও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালানো হচ্ছে বলে কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে ও হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিও ঘিরে শোরগোল। তাতে দেখানো হচ্ছে, আটা মাখানোর পর তা অনেকটা প্লাস্টিকের মতো দেখতে লাগছে। বলা হচ্ছে, এই আটায় প্লাস্টিক রয়েছে। তাই এই আটা না কেনার জন্য। বাজারে আশীর্বাদ আটার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এতে। তারপর এই সংক্রান্ত আরও কয়েকটি ভিডিওয় গুজব ছড়ানো হয়, আশীর্বাদ আটায় প্লাস্টিক রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গে রেশনের আটায় প্লাস্টিক রয়েছে বলে গুজব রটে যায়। তার রাজ্যে খাদ্য দপ্তর থেকে বিবৃতি দিয়ে সে গুজব খণ্ডন করা হয়। এক্ষেত্রেও আসরে নেমে বিবৃতি দেয় আইটিসি। কে বা কারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গুজব রটাচ্ছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.