রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: টুইটে নাম না করে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল শাসিত সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সোমবার টুইটে তিনি অভিযোগ করেছেন, “বিজেপি বিরোধী শাসিত রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় সেখানকার সরকারের সমালোচনা করলেই বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লিখলেই প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করছে সেখানকার সরকার। গণতন্ত্রে এসব করা যায় না। আমরা ওই সমস্ত বিজেপি কর্মীদের পাশে আছি।”
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার ব্যর্থ, এই অভিযোগ তুলে এ রাজ্যে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে নানাভাবে সরব বিজেপি। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব অভিযোগও করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের জন্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। দলের জনপ্রতিনিধিদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। রাজ্যের শাসকদল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছেও করেছে বঙ্গ বিজেপি। তার পরিপ্রেক্ষিতেই পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের দিকে ইঙ্গিত করে নাড্ডার এই টুইট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন : বাংলায় কমছে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর হার, সংক্রমণের গ্রাফ উর্দ্ধমুখীই]
সোমবার বিজেপির রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ প্রমুখ কেন্দ্রীয় নেতারা। রাজ্যে যে ঘূর্ণি ঝড় ‘আমফান’ আসছে সেটার বিষয়ে মানুষের কীভাবে পাশে দাঁড়ানো যায় তা নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা হয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা জানান, আমফান নিয়ে রাজ্য সরকারকে সব সহযোগিতা দলের তরফে করা হবে। পার্টি অফিসে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। সেখান থেকে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে ফিডব্যাক দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন : সুস্থ হয়ে কাজে ফিরলেন বউবাজার থানার ওসি, করোনা যোদ্ধাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা সহকর্মীদের]
এদিকে, রাজ্যে লকডাউন শিথিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হকার্স মার্কেট খোলার পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছেন দিলীপবাবু। তাঁর কথায়, হকার্স মার্কেট খুললে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। কেন্দ্রের ঘোষিত নাইট কারফিউ রাজ্যে না মানার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সংক্রমণ রোধেই এই নাইট কারফিউ এর কথা বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা তিনি কিছুই মানবেন না। বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন, রাজ্যে এত তাড়াতাড়ি লকডাউন খুলছে। করোনা সংক্রমণ কিভাবে আটকানো যাবে।