সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মঘটের প্রভাব পড়ল শিক্ষাঙ্গনেও। বুধবার সকালে এক্কেবারে অন্য মেজাজে রইল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বসেই চলল দাবা খেলা। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জন্য প্রশংসা কুড়ল প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। ‘ভদ্রভাবে’ পড়ুয়ারা আন্দোলন করতেই পারে বলে জানান উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া।
লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি, কেন্দ্রের বিলগ্নিকরণ-সহ একাধিক ইস্যুতে বুধবার সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ১৪টি ট্রেড ইউনিয়ন। তার সঙ্গে যুক্ত হয় জেএনইউ কাণ্ড। এই ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দেন বামপন্থী পড়ুয়ারা। তার প্রভাব পড়ল শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। রীতিমতো পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান যাদবপুরের পড়ুয়ারা। এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ এবং ৪ নম্বর গেটের সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়াদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেই সাফ জানিয়ে দেন তাঁরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ছুটির আবহ তৈরি হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে ক্যারাম খেলতে শুরু করেন একদল পড়ুয়ারা। চলে দাবা খেলাও। ধর্মঘটের দিনে ব্যাট এবং বলেও ঝড় তোলেন বহু পড়ুয়া।
[আরও পড়ুন: যাদবপুরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ধর্মঘট সমর্থকদের, আটক সুজন চক্রবর্তী]
ধর্মঘটে শামিল হন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন তাঁরা। গাড়ির পরিবর্তে পড়ুয়াদের অনুরোধে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া হেঁটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢোকেন। তবে তাতে এতটুকুও বিরক্ত হননি তিনি। উপাচার্য বলেন, “ওরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছে। এত ভদ্রভাবে প্রতিবাদ করছিল তাই কিছু বলার নেই। আন্দোলনে কারও কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। ওদের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে।”
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী পড়ুয়ারাও এদিন সকাল থেকেই কলেজ স্ট্রিটে বিক্ষোভ দেখান। বেশ কিছুক্ষণ পথও অবরোধ করেন তাঁরা। শুধু শিক্ষাঙ্গনই নয়। বামেদের দাবি, গোটা রাজ্যজুড়ে এদিন ধর্মঘটের প্রভাব সর্বাত্মক। ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় মালদহের কালিয়াচকের সুজাপুরে। জাতীয় সড়কে অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে ধর্মঘটীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। যদিও বামেদের দাবি, পুলিশই বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য পরিকল্পনামাফিক এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
দেখুন ভিডিও: