Advertisement
Advertisement

Breaking News

CBI

জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে ‘মৃত’ অমৃতাভর বয়স নিয়ে ধাঁধা, সত্যি জানতে ভরসা ওসিফিকেশন টেস্ট

হাড়ের পরীক্ষার জন্য ধৃত অমৃতাভ চৌধুরীকে হাসপাতালে নিয়ে যান তদন্তকারীরা।

Jnaneswari Express train derailment: Amritabha Chowdhury undergoes ossification test | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 25, 2021 9:03 am
  • Updated:June 25, 2021 9:03 am

সুব্রত বিশ্বাস: জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস (Jnaneswari Express train derailment) দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ কেলেঙ্কারি মামলায় আরও ঘনীভূত রহস্য। ২০১০ সালের ওই হাড়হিম করা দুর্ঘটনায় ‘মৃত’ অমৃতাভ চৌধুরীর বয়সের ধাঁধা চিন্তায় ফেলেছে তদন্তকারীদের। তাই এবার ধৃত অমৃতাভর আসল বয়স জানতে ‘ওসিফিকেশন টেস্ট’ করল সিবিআই (CBI)।

[আরও পড়ুন: পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সদস্যদের তালিকায় মুকুলের নাম, তীব্র বিরোধিতা বিজেপির]

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ‘ওসিফিকেশন টেস্ট’ বা হাড়ের পরীক্ষার জন্য ধৃত অমৃতাভ চৌধুরীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। এদিন এই পরীক্ষার জন্য যাবতীয় নমুনা সংগ্রহ করে হাসপাতাল। ২০১০ সালের ২৮ মে ট্রেন দুর্ঘটনায় অমৃতাভর ‘মৃত্যুর’ ক্ষতিপূরণ হিসেবে চার লক্ষ টাকা পেতে ডিএনএ রিপোর্ট জমা দেয় তাঁর পরিবার। অমৃতাভর বোন রেলে চাকরিও পান। এগারো বছর পর দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ভিজিল্যান্স বিভাগ জানতে পারে, ‘মৃত’ অমৃতাভ দিব্বি বেঁচেবর্তে রয়েছেন। বেসরকারি সংস্থায় চাকরি থেকে প্রোমোটারি করছেন তিনি। আয়কর দেওয়ার পাশাপাশি পাসপোর্ট নবীকরণও করিয়েছেন অভিযুক্ত। এরপর তাঁরা মামালাটি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিলে অমৃতাভকে আটক করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। কিন্তু রেলে নথিভূক্ত ব্যক্তির বয়সের সঙ্গে ধৃতের বয়সের অমিল দেখায় ওসিফিকেশ টেস্ট জরুরি হয়ে পড়ে। তাই এই পরীক্ষা করা হয়েছে বলে খবর।

Advertisement

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ‘মৃত’ অমৃতাভ চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির জীবিত থাকার খবরে চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্যজুড়ে। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি বেঁচে থাকলেও জাল নথি দিয়ে তাঁর পরিবার দিব্বি ক্ষতিপূরণের টাকা-সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা রেলের কাছ থেকে বাগিয়ে নেয়। তদন্তে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয় তাঁর বয়স নিয়ে। মৃত অমৃতাভের ডেথ সার্টিফিকেটে জন্ম সাল ১৯৮২ রয়েছে। ধৃত অমৃতাভের বয়স অন্তত বছর দশেক কম হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছে। সার্টিফিকেটের গরমিল নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। ডিএনএ রিপোর্ট কোথা থেকে বানিয়ে ছিল অমৃতাভ? এর পেছনে কারা কারা রয়েছে? তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চুরি গিয়েছে বউ, থানায় গিয়ে খুঁজে দেওয়ার আরজি স্বামীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ