সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চম দফার লকডাউনে অবশেষে ভক্তদের জন্য সুখবর! খুলছে কালীঘাট মন্দির। চলতি সপ্তাহ থেকেই পুন্যার্থীরা কালীঘাটে মায়ের দর্শন করতে যেতে পারবেন, সেই ভাবনা থেকেই উদ্যোগ নিয়ে মন্দির চত্বরে স্যানিটাইজিং চ্যানেল বসাচ্ছে কালীঘাট মন্দির কর্তৃপক্ষ।
জুন মাসের পয়লা দিন থেকেই শুরু হয়েছে পঞ্চম দফার ‘লকডাউন’। তবে ‘লকডাউন’ না বলে ‘আনলক ওয়ান’ বলাই সঙ্গত। কারণ, ধীরে ধীরে এই বন্দিজীবন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার তথা কেন্দ্রীয় সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অফিস-কাছাড়ি সবকিছুরই দরজা খুলছে। রাস্তায় বাস, অটো নেমেছে। ছন্দে ফিরছে দেশ। এমতাবস্থায় ১ জুন থেকেই মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, গুরুদ্বার-সহ সমস্ত ধর্মীয় উপাসনালয় খোলার অনুমতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, ছাড়পত্র সত্ত্বেও কালীঘাট, আদ্যাপীঠ এবং দক্ষিণেশ্বরের মতো বড় বড় মন্দিরগুলোর দরজা খোলেনি। তবে এই সপ্তাহেই যাতে পুন্যার্থীরা মায়ের দর্শনে আসতে পারেন, সেকথা ভেবে চূড়ান্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করে দিয়েছে কালীঘাট মন্দির কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সাহায্য, ২৫ লক্ষ টাকা দান বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরামের]
এই প্রসঙ্গে কালীঘাট মন্দির কমিটির সভাপতি তথা তৃণমূল সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সমস্তরকম সুরক্ষাবিধি মেনেই মন্দির খোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গোটা মন্দির চত্বর স্যানিটাইজ করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও পুন্যার্থীদের সুরক্ষার কথা ভেবে প্রবেশদ্বারের কাছে একটি স্যানিটাইজ টানেলের ব্যবস্থা করা হবে। তার মধ্যে দিয়েই ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করবেন। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা ভেবেও মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে অভিনব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মন্দিরে ভিতর প্রবেশ করতে পারবেন না। পুজো দিয়ে ১০ জন বেরিয়ে এলেই পরবর্তী ১০`জন মন্দিরে ঢোকার অনুমতি পাবেন।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মস্থান খোলার ছাড়পত্র দিয়েছিলেন। যদিও খোলার আগে পুরো মন্দির স্যানিটাইজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি কমিটিগুলিকে। রাজ্য সরকারের পথে হেঁটে কেন্দ্রীয় সরকারও ৫ জুন থেকে ‘আনলক ওয়ান’-এর গাইডলাইনে ধর্মীয়স্থানগুলি খোলার অনুমতি দিয়েছে। সেসব নির্দেশিকা মেনেই কালীঘাট মন্দির খোলার প্রস্তুতি চলছে আপাতত জোর কদমে।