Advertisement
Advertisement
Kasba Fake Vaccination Case Debanjan Deb

কসবা ভুয়ো টিকা কাণ্ড: আধিকারিকের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা, দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে FIR

টাকি হাউজের ছাত্র দেবাঞ্জন কীভাবে জড়াল জালিয়াতি চক্রে? মিসিং লিংকের সন্ধানে পুলিশ।

Kasba Fake Vaccination Case: A fresh FIR lodged in New market police station against Debanjan Deb ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 25, 2021 11:34 am
  • Updated:June 25, 2021 4:38 pm

অর্ণব আইচ: কসবার ভুয়ো টিকা কাণ্ডে (Kasba Fake Vaccination Case)  দেবাঞ্জন দেবকে জেরা করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। আপাতদৃষ্টিতে মেধাবী পড়ুয়া দেবাঞ্জন কীভাবে ‘প্রতারক’ হয়ে উঠল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আর্থিক তছরুপের জেরে ধৃতের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় একটি পৃথক FIR হয়েছে। এছাড়া মুচিপাড়া থানায় দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (Indian Medical Association)। সোনারপুর থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিধায়ক লাভলি মৈত্রও। এদিকে, দেবাঞ্জনের এক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। রামলীলা পার্কের বাসিন্দা শান্তনু মান্না নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে দেবাঞ্জনের অফিসের ম্যানেজার বলে দাবি করত। দেবাঞ্জনের তালতলার গুদামেও চলছে জোর তল্লাশি। সূত্রের খবর, সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ভায়াল পাওয়া গিয়েছে। 

টানা দশদিন ধরে কসবায় করোনার টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করেছিল দেবাঞ্জন দেব। ওই টিকাকরণ শিবির থেকে টিকা নেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। তবে মেসেজ না আসায় সন্দেহ হয় তাঁর। কলকাতা পুরসভায় বিষয়টি জানান। তাতেই কসবায় ভুয়ো টিকাকরণ শিবিরের পর্দাফাঁস হয়। সামনে আসে দেবাঞ্জন দেবের ‘কীর্তি’। ইতিমধ্যেই তাকে বেশ কয়েকবার দফায় দফায় জেরা করেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাতেই জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার নামে বেআইনিভাবে অ্যাকাউন্ট খুলেছিল দেবাঞ্জন। তদন্তে এই বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসার পরই নিউ মার্কেট থানায় দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে একটি পৃথক FIR দায়ের হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড থাকলেও রোগীর পরিবারের থেকে সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা আদায় বেসরকারি হাসপাতালের]

ভুয়ো টিকাকরণ কাণ্ডের নায়ক দেবাঞ্জন দেব (Debanjan Deb) ছোট থেকে মেধাবী পড়ুয়া ছিল। জানা গিয়েছে, শিয়ালদহের টাকি হাউজের ছাত্র সে। চারুচন্দ্র কলেজ থেকে জুওলজিতে স্নাতক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনেটিক্সের একটি কোর্সে ভরতি হয়েছিল সে। সেখানে পড়াশোনা শেষ করেনি দেবাঞ্জন। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসট্যান্স এডুকেশন প্রোগামের একটি কোর্সে ভরতিও হয়েছিল সে। তবে সেই কোর্সও শেষ করেনি দেবাঞ্জন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। দেবাঞ্জন আরও জানিয়েছে, পড়াশোনার পর গান ও তথ্যচিত্রের কাজও শুরু করেছিল সে। করোনা কালে স্যানিটাউজারের ব্যবসা শুরু করে দেবাঞ্জন। বাগড়ি মার্কেট থেকে মাস্ক, স্যানিটাইজার, পিপিই কিটও কিনেছিল সে। এমনকী সমাজসেবামূলক কাজও শুরু করেছিল দেবাঞ্জন। সে সময় বিনামূল্যে স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিলি করে সে। তবে কীভাবে দেবাঞ্জন টিকাকরণ নিয়ে জালিয়াতি কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। মিসিং লিংকের সন্ধানে তদন্তকারীরা।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ