Advertisement
Advertisement

Breaking News

Firhad Hakim

কসবা ভুয়ো টিকা কাণ্ড: প্রতারিতদের খুঁজে টিকা দিতে চায় পুরসভা, জানালেন ফিরহাদ

পুরসভার কোনও ব্যক্তি জড়িত থাকলে কড়া শাস্তি হবে, আশ্বাস ফিরহাদ হাকিমের।

Kasba fake vaccine row: Firhad Hakim urges people to get jab from govt approved centres | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 26, 2021 4:01 pm
  • Updated:June 26, 2021 4:25 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কসবায় (Kasba) ভুয়ো টিকাকরণ ক্যাম্প থেকে যাঁদের করোনা ভ্যাকসিন (Corona vaccine) দেওয়া হয়েছে, তাঁদের চিহ্নিত করে পুরসভার তরফে টিকা দেওয়া হবে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়ে প্রতারিতদের পাশে দাঁড়ালেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। করজোড়ে তাঁর প্রার্থনা, কলকাতাবাসী যেন সরকার অনুমোদিত কোনও ক্যাম্প কিংবা হাসপাতাল থেকেই টিকা নেন, যে কোনও ক্যাম্পে গিয়ে ভ্যাকসিন না নেওয়ার কথা বলেন। টিকা কেলেঙ্কারি নিয়ে পুরসভাও তদন্ত করছে। পুরসভার কেউ এই কাজে যুক্ত থাকলে, তাঁর কঠোর শাস্তি হবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এমনই আশ্বাস দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিতে ‘কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি’র নির্দেশ দিয়েছেন।

দেবাঞ্জন দেব। কলকাতায় ভুয়ো টিকাকরণ চক্রের মূল পান্ডা ইনিই। বিভিন্ন জায়গায় শিবির খুলে মানুষজনকে ভুয়ো টিকা দিয়ে প্রতারণার মতো অভিযোগ তার মাথার উপরে। জনস্বাস্থ্য নিয়ে এমন এক প্রতারণার ঘটনার জল গড়িয়েছে বহু দূর। কসবার ১০৭ নং ওয়ার্ডের ভুয়ো শিবির করার পরই দেবাঞ্জন হাতেনাতে ধরা পড়ে। এই ক্যাম্প থেকেই টিকা নিয়েছিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। তিনিও শুক্রবার রাত থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিট (SIT) গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে। দেবাঞ্জনের পাশাপাশি এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: Coronavirus: সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া প্রশাসন, মঙ্গলবার পর্যন্ত হাওড়ায় বন্ধ একাধিক বাজার]

এবার কলকাতা পুরসভাও (KMC) আলাদাভাবে তদন্তে নামছে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পুরসভার তরফে কেউ এই ভুয়ো চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকলে তার কড়া শাস্তি হবে। সহনাগরিকদের প্রতি তাঁর আন্তরিক আবেদন, ”বাড়ির কাছেই কোনও শিবির হতে দেখলে সেখানেই ভ্যাকসিন নিতে ছুটে যাবেন না। একটু কষ্ট করে হাসপাতাল কিংবা পুরসভায় চলে আসুন, নিরাপদে ভ্যাকসিন নিন।” ফলক বিতর্ক নিয়েও ফিরহাদ জবাব দিয়েছেন। অতীন ঘোষের মতো তাঁরও দাবি, ওই ফলক উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে তাঁরা কেউ যাননি। আর পুরসভা ওই ফলক ভেঙেও দিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: একবালপুরে গেস্ট হাউসে শ্লীলতাহানির চেষ্টা! ১০০ ডায়ালে ফোন পেয়ে তরুণীকে বাঁচাল পুলিশ]

এদিকে, দেবাঞ্জনের খুঁটিনাটি জানতে গিয়ে আরও বেশ কয়েকটি তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। জানা গিয়েছে, ট্যাংরার এক ব্যবসায়ী দেবাঞ্জনের থেকে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা পেতেন। টাকা চাইতে গেলে তাঁকে জোর করে টিকা দিয়েছে দেবাঞ্জন। এভাবেই সে পাওনাদারদের পরিবারের সদস্যদের টিকা দিত জোর করে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ