সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাদিম কর্তা অপহরণ মামলায় আরও আটজনকে দোষী সাব্যস্ত করল আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের বিশেষ আদালত। আগামী সোমবার তাদের সাজা ঘোষণা করা হবে।
[টাকা চাওয়ায় বাবাকে মার ছেলের, এয়ারগান থেকে গুলি বাবার]
প্রায় ১৬ বছর ধরে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া অবশেষে শেষ হল। খাদিম কর্তা পার্থ রায়বর্মন অপহরণ মামলায় শুক্রবার সাজা ঘোষণা হল। এদিন আদালত দোষী সাব্যস্ত করে নইম ওরফে তারিক মেহমুদ, আরশাদ ওরফে আসলাম, দিলসাদ, শাহবাজ, উমর জালাল, মোজ্জামেল শেখ ও আখতারকে। আরশাদ, নইম ও দিলসাদ পাক নাগরিক। সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ জানান, এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মামলা। ভারতবর্ষের একাধিক রাজ্য এমনকী পাকিস্তানের নাগরিকও এই ঘটনায় জড়িত। তিনজনের ই-মেল লেনদেন এবং এফবিআইয়ের সাহায্য তদন্তে অগ্রগতি আসে। তিলজলা থেকে বসিরহাট। সেখান থেকে দুবাই। এভাবেই ঘটনার জাল ছড়িয়েছিল। ঘটনার মূল চাঁই আফতাব আনসারি কখনও দুবাই কখনও পাকিস্তান থেকে ফোনে আসামীদের সঙ্গে কথা বলেছে। ২০০৯ সালের মে মাসে প্রথম পর্বের বিচার শেষ হয়। তখন আফতাব আনসারি-সহ পাঁচ জনের সাজা ঘোষণা হয়ে যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ের বিচারের জন্য সরকারপক্ষ কী সাজা চাইবে। এর জবাবে সরকারি আইনজীবী জানান, যে পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনা ঘটেছে যাতে সমাজের উপর প্রভাব পড়েছে তার নিরিখে সাজা সম্পর্কে আবেদন জানানো হবে। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে মামলা শেষ করার জন্যে আগেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তারপরও নানা কারণে বিচারপ্রক্রিয়া পিছিয়েছে।
[বিমানের স্বাচ্ছন্দ্য এবার ট্রেনেও, আভিজাত্যে ভর করে পৌঁছে যান বোলপুর-তারাপীঠ]
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ২৫ জুলাই খাদিম কর্তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। প্রথমে তাঁর মুক্তিপণের জন্য ২০ কোটি টাকা চাওয়া হয়। পাঁচ কোটিতে রফা হওয়ার পর শেষ মুহূর্তে ৩.৭৫ কোটি টাকা রাজি হয় অপহরণকারীরা। সিআইডি সূত্রে খবর, হায়দরাবাদের একটি হোটেলে লেনদেন হয়েছিল। হাওয়ালা বা হুন্ডির মাধ্যমে এই অর্থ দুবাইতে চলে যায়। ঘটনার মাসখানেক পর দমদমের একটি অজ্ঞাত জায়গায় পার্থ রায়বর্মন ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.