Advertisement
Advertisement

Breaking News

COVID-19

শেষকৃত্যে ঘুষ বন্ধে বড় সিদ্ধান্ত পুরসভার, হাসপাতাল ও বাড়িতে কোভিডে মৃতদের দাহ নিখরচায়

শববাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রণের জন্য কো-অর্ডিনেটরদের দায়িত্ব ভাগ করে দিলেন পুরকমিশনার।

KMC in the fray as corona victim's kin allege bribe demand during cremation | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:April 30, 2021 9:06 am
  • Updated:April 30, 2021 9:06 am

কৃষ্ণকুমার দাস: সরকারি হাসপাতাল ও বাড়িতে যদি কোভিডে কেউ মারা যান তবে তাঁর দাহ পুরসভা নিখরচায় করবে বলে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, এই কোভিডের (COVID-19) দেহ ধাপায় দাহ করার জন্য এবার বরোভিত্তিক একজন হেল্থ অফিসারও নিয়োগ করল কলকাতা পুরসভা। পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক শববাহী যানের নথিভুক্ত সংস্থার নাম ও ফোন নম্বর যেমন প্রকাশ করল, তেমনই শববাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রণের জন্য কো-অর্ডিনেটরদেরও দায়িত্ব ভাগ করে দিলেন পুরকমিশনার।

উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল ‘সংবাদ প্রতিদিন’ এই কোভিডের দেহ দাহ ঘিরে হাজার হাজার টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারি ফাঁস করে। বাঁশদ্রোণীর এক বৃদ্ধের করোনায় মৃত্যুর পর ধাপায় দেহ দাহর সময় মেয়ের কাছ থেকে তিনদফায় সতেরো হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ জমা পড়ে পুরসভায়। খবর প্রকাশ হতেই নড়েচড়ে বসে পুরসভা ও রাজ্য সরকার। নিন্দার ঝড় বয়ে যায় শহরে। পুরকমিশনার বিনোদ কুমার তদন্ত শুরু করেন। রাজ্যের পুরসচিব খলিল আহমেদ সাদা পোশাকে পুলিশ পাঠিয়ে ধাপায় দশ হাজার টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে এক পুরকর্মীকে গ্রেপ্তার করান। কারণ, একমাত্র পুরসভার নির্দিষ্ট রেট হিসাবে হাসপাতাল থেকে দেহ ধাপায় (Dhapa) পৌঁছে দিতে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার কথা। এছাড়া পুরোটাই বিনাখরচে হয়ে থাকে। কিন্তু তারপরেও গোপনে হাসপাতালের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশ করে কোভিডে মৃতের পরিবারের কাছ থেকে বেশি পরিমাণ অর্থ আদায়ের অভিযোগ আসছিল। এরপর বৃহস্পতিবার পুরকমিশনার নয়া নির্দেশ জারি করে বরো ভিত্তিক হেল্থ অফিসার ও শববাহী গাড়ির কো-অর্ডিনেটরদের দায়িত্ব দিলেন। বিজ্ঞপ্তিতে পুরসভা জানিয়েছে, কোভিডের মৃতদেহ পূর্ণ মর্যাদার সঙ্গে দাহ ও কবর দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: EXIT POLLS: পরিবর্তন নয়, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়! বলছে অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা]

Advertisement

হাসপাতাল বা নার্সিংহোম থেকে ধাপায় কোভিডের দেহ পৌঁছে দিতে দশ হাজার টাকা এবং মুখাগ্নি করার জন্য আরও পাঁচ হাজার টাকা নিচ্ছিল ভারপ্রাপ্ত কর্মীদের একাংশ। সঙ্গে ছিলেন পুরকর্মীরা। এই ঘুষ কেলেঙ্কারি ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ গত ২৪ এপ্রিল ফাঁস হওয়ার পর এদিন সরকারি হাসপাতাল ও বাড়িতে করোনায় কেউ মারা গেলে তাঁর শেষকৃত্য করার জন্য কাউকে কোনও অর্থ দিতে হবে না বলে পুরসভা ঘোষণা করেছে। এদিনই পুরকমিশনার বিনোদ কুমার শহরের তিনটি জোনে হেল্থ অফিসারদের দায়িত্ব ভাগ করলেন পুরকমিশনার।

বরো ১ থেকে ৫ ও সল্টলেক পুরসভার দেহ দাহর দায়িত্বে ডেপুটি সিএমএইচ ডাঃ বাসুদেব মুখোপাধ্যায় (৯৮৩০০৬২১৫০)। বরো ৬ থেকে ১০ নম্বরের দায়িত্ব পড়েছে এক্সিকিউটিভ হেল্থ অফিসার ডাঃ উৎপল কাঞ্জির (৯৮৩০০২২০০৬) উপর। বরো ১১ থেকে ১৬ নম্বরের ওয়ার্ডগুলি কোভিড দেহ সমন্বয় করবেন এক্সিকিউটিভ হেল্থ অফিসার ডাঃ সুব্রত মৌলিক (৯৮৩০২৮৪৭২৯)। এছাড়াও শববাহী যান কো-অডিনেটর- ৯০০৭৬১৫৮৭৩/ ৭৯০০১৫৫৮০৫ (সোমনাথ) ও ৭৯৮০৪৮৮৯০৯ (দীপক)। পুরসভার তরফে একজন কোভিড কো-অর্ডিনেটরও নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁর ফোন নম্বর হল–৯৮৩০২৪১৬৬০। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, দেহ দাহ করতে শুধু ডেথ সার্টিফিকেট রাখুন।

[আরও পড়ুন: পয়লা মে’র আগে ৩ কোটি টিকা পাঠান, ভ্যাকসিন কিনতে চেয়ে মোদি সরকারকে চিঠি রাজ্যের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ