Advertisement
Advertisement

Breaking News

ডাক্তার

মস্তিষ্কের চাপ কমাতে পেটের ভিতর রাখা হল মাথার খুলি! বিরল অস্ত্রোপচার কলকাতায়

বর্তমানে রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল।

Kolkata doctors perform rare skull surgery on a woman

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:July 26, 2020 9:44 am
  • Updated:July 26, 2020 9:44 am

অভিরূপ দাস: লকডাউনের (Lockdown) বিরল অস্ত্রোপচার শহরে। কোমা থেকে বাঁচাতে খুলে নেওয়া হয়েছে মাথার খুলি। ৯০ দিনের জন্য তার ঠিকানা পেট! পুজোর আগেই ফের তা বসিয়ে দেওয়া হবে যথাস্থানে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এহেন অস্ত্রোপচার যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

দীর্ঘদিন ধরেই মাথাব্যথা ভবানীপুরের বাসিন্দা বছর ৪২ এর অপালা মিত্রর। করোনা আবহে মাথাব্যথা দ্বিগুণ হয়। তখনও বুঝতে পারেননি কী হয়েছে। অপালার কথায়, “সাধারণ মাথা ব্যথা ভেবে ওষুধ খেতাম। সামান্য সময়ের জন্য কমতো। আবার যে কে সেই।” আচমকাই একদিন বাড়িতে সংজ্ঞাহীন হয়ে পরেন তিনি। ১৫ মে নিয়ে যাওয়া হয় পার্ক সার্কাসের ইন্সটিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সে। মাথার অ্যাঞ্জিওগ্রাফিতে ধরা পরেছিল ভয়ংকর ছবি। দেখা গিয়েছিল, মস্তিষ্কের ভেতর যে ধমনী দিয়ে রক্ত চলাচল করে তা দুর্বল হয়ে বেলুনের মতো ফুলে উঠেছে। সাবার্কনয়েড হেমারেজ আর ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমারেজ একই সঙ্গে ধরা পরে। এমন ক্ষেত্রে বাঁচার সম্ভাবনা ১ শতাংশেরও কম। চিকিৎসকের কথায়, মস্তিষ্কে ব্লাড ভেসেল ফেটে অপালার সাবার্কনয়েড হেমারেজে দেখা গিয়েছিল তা থেকে বাঁচাতে না বাঁচাতেই ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমারেজ। কোমায় চলে গিয়েছিল রোগী। টানা ১০ দিন জড় বস্তুর মতো পরেছিল বিছানায়। এদিকে লক ডাউনে সুদূর হায়দরাবাদে স্বামী। মোবাইলে ভিডিও কল করে স্ত্রীকে দেখেছিলেন।

Advertisement

apala

Advertisement

[আরও পড়ুন: কাজ করছে না কিডনি, এখনও রয়েছে জ্বর-শ্বাসকষ্ট, অত্যন্ত সংকটজনক সোমেন মিত্র]

এরপরই মস্তিষ্কের শল্য চিকিৎসক অমিতকুমার ঘোষ বিরলতম সার্জারির প্রস্তুতি নেন। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ডিকম্প্রেসিভ ক্র‌্যানিয়েকটমি অ্যান্ড ইভাকুয়েশন অফ হেমাটোমা অ্যান্ড ক্লিপিং অফ অ্যানুরিজম। সোজা কথায় মাথার খুলির একটা অংশ রেখে দেওয়া হয়েছে পেটের চামড়ার নিচে! অমিতবাবু জানিয়েছেন, এটা বিরল অস্ত্রোপচার। করোনার এই সংকটকালে এরকম অস্ত্রোপচার করার একটা ঝুঁকি ছিলই। কিন্তু রোগীকে বাঁচানোর জন্য এছাড়া রাস্তা ছিল না। মাথার ভেতরের ধমনী ফেটে রোগী কোমায় চলে গিয়েছিলেন। মস্তিষ্কের চাপ কমাতে খুলির ১২ সেন্টিমিটার অংশ পেটের চামড়ার নিচে রেখে দেওয়া হয়েছে। পুজোর আগেই যা আবার লাগিয়ে দেওয়া হবে। মাথার ভেতর ধমনীর ফুলে ওঠাকে ‘অ্যানুরিজম'(Aneurysm) বলা হয়। কিছু ক্ষেত্রে এই ধমনী ফেটে যায়। তখনই বিপত্তি ঘটে। যাতে আর না ফেটে যায় তাই ক্লিপ দিয়ে সেটাকে জোড়া লাগানো হয়েছে। একে বলা হয় ‘ক্লিপিং অফ অ্যানুরিজম’। জুলাইয়ের শেষেই ফিরছেন অপালার স্বামী। ফিরেই আগে দেখা করবেন ডা. অমিত কুমার ঘোষের সঙ্গে।

[আরও পড়ুন: ৯৩ বছরে করোনা জয়, হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে বৃদ্ধকে ঘরে ফেরালেন প্রতিবেশীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ