Advertisement
Advertisement
Tangra Fire

ট্যাংরার অগ্নিকাণ্ডে প্রবল ধোঁয়ায় অসুস্থ বেশ কয়েকজন, ফোনে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

বড় বিপদ এড়াতে খালি করা হল আশেপাশের এলাকা, উদ্বিগ্ন দমকল মন্ত্রী।

Kolkata fire still raging, CM Mamata Banerjee takes stock of situation | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 12, 2022 9:08 pm
  • Updated:March 12, 2022 10:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চামড়া, রেক্সিন, রাসায়নিক পদার্থ – সবই দাহ্য। ফলে ট্যাংরার (Tangra) মেহের আলি লেনে চামড়ার গুদামের অগ্নিকাণ্ড যতটা ভাবা হচ্ছিল, তার চেয়ে অনেকটাই বেশি ভয়াবহ আকার নিল। যা প্রায় রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে দমকল, প্রশাসনিক কর্তাদের। ঘণ্টা দুয়েক কেটে গেলেও আগুন নিয়্ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। দমকলের ২০ টি ইঞ্জিনের (Fire Engines) সাহায্যে রীতিমতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন কর্মীরা। ভেঙে পড়েছে গুদামের পাঁচিলের একাংশ। বিপদ টের পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)। তিনি বেশ উদ্বিগ্ন। তাঁকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। পরে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি দেখতে যান উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অগ্নিকাণ্ড যে অন্যান্য ঘটনার চেয়ে ভয়াবহ, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।

ছবি: পিণ্টু প্রধান।

সন্ধে প্রায় ৬টা। মেহের আলি লেনের একটি চামড়ার গুদামে দাউদাউ আগুন জ্বলে ওঠে। ঘিঞ্জি এলাকায় দাহ্য পদার্থের স্তূপের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খুব কম সময়ের মধ্যেই পাশের একটি বাড়িও চলে যায় আগুনের গ্রাসে। ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে প্রথমে দমকলের ৫ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গেলেও পরে পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝে তা বাড়তে বাড়তে ২০ তে দাঁড়ায়। চারটি ডিভিশনের দমকল বাহিনীকে কাজে লাগানো হয়েছে। সরু গলি, চারপাশে ছোটবড় বাড়ি এবং জলের তেমন উৎস না থাকায় আগুন নেভানো বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে দমকল কর্মীদের কাছে। এক দমকল কর্মীর বক্তব্য, ”খুব সমস্যা হচ্ছে। ছোট জায়গা, এর মধ্যে ঠিকমতো কাজ করা যাচ্ছে না। তবে এর মধ্যেও চেষ্টা তো চালিয়ে যেতে হবে। সেটাই আমরা করছি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের কলকাতায় অগ্নিকাণ্ড, ট্যাংরায় চামড়ার গুদামে দাউদাউ আগুন, ভাঙল গুদামের ছাদ]

এদিকে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক, ভয়াবহতা সবই বেড়েছে। প্রচণ্ড তাপে গুদামের কাচ ভেঙেছে, ভেঙেছে পাঁচিলের একাংশও। গোটা গুদামই আগুনের গ্রাসে চলে যায়। তাতে তিনজন দমকল কর্মীর জখম হওয়ার খবর মিলেছে। বড়সড় বিপদ এড়াতে গুদাম সংলগ্ন বাড়িগুলি থেকে মানুষজনকে সরানোর কাজ শুরু হয়। প্রথমেই সরিয়ে ফেলা হয় গ্যাস সিলিন্ডার। কোনওভাবে তাতে আগুন লেগে গেলে বিপদ আরও বাড়বে। স্থানীয়রাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন। গুদামের দুপাশের দুটি বাড়ি থেকে জল এনে ছাদ থেকে তা ছড়িয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। তবে দাউদাউ আগুনের কাছে এই চেষ্টা তুচ্ছ হয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে জলের জোগান বাড়াতে পাম্পও আনা হয়।

Advertisement
Tangra Fire
ছবি: পিণ্টু প্রধান।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝে ঘটনাস্থলে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তবে জানালেন, এখনও কোনও হতাহতের খবর নেই। যদিও বেসরকারি সূত্রে খবর, প্রবল ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অন্তত চারজন দমকল কর্মী। অগ্নিকাণ্ডের খবর নিতে সুজিত বসুকে ফোন করেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অগ্নিনির্বাপণের কাজ কীভাবে চলছে, পরিস্থিতি কতটা গুরুতর, বিপদের আশঙ্কাই বা কতটা – সেসব খোঁজখবর তিনি নিয়েছেন বলে জানান সুজিত বসু।  ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তিনি নিজে সর্বক্ষণ কাজের দিকে নজর রাখছেন। তবে দমকল কর্মীদের স্পষ্ট বক্তব্য, কতক্ষণে রাসায়নিক থেকে জ্বলে ওঠা আগুন নিভবে, তা একেবারেই বলা সম্ভব নয়। তবে দমকলের কাজে অসন্তুষ্ট স্থানীয় বাসিন্দারা। ফায়ার অডিট নিয়েও অজস্র অভিযোগ রয়েছে। সূত্রের খবর, ২০১২ সালে এই কারখানার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার যাবতীয় মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন করে পরে অনুমোদনও নেওয়া হয়নি। এসবের তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন দমকল মন্ত্রী। 

[আরও পড়ুন: আগামী মাসেই রাজ্যের ২ কেন্দ্রে উপনির্বাচন, দিনক্ষণ জানাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ