অভিরূপ দাস: সেরে ওঠার পর ফের একই রোগীর শরীরে বাসা বাঁধছে মারণ ভাইরাস। যা যথেষ্ট উদ্বেগের। তবে দ্বিতীয়বার যাতে একই শরীরে থাবা বসাতে না পারে নোভেল করোনা ভাইরাস (Corona Virus), সেই কারণে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এক নতুন পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করা হবে বলে জানালেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাঝি (Nirmal Maji)। এতে পরিস্থিতি অনেকটাই আয়ত্তে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
করোনা আতঙ্কে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। বাংলার ছবিটাও আলাদা নয়। রোজই লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য ফের লকডাউনের পথে হাঁটলেও করোনা গ্রাফ এখনও ঊর্ধ্বমুখী। এর মাঝেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে দ্বিতীয়বার সংক্রমণ। অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর ফের তাঁর শরীরে বাঁধছে ভাইরাস। এহেন ঘটনা এখনও পর্যন্ত খুব বেশি না ঘটলেও, ঘটছে। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করতে চাইছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। এ প্রসঙ্গে নির্মল মাঝি জানান, “আমরা ভাইরাল লোড চিহ্নিত করে চিকিৎসা করতে চাইছি। ইতিমধ্যেই সিটি ভ্যালু পদ্ধতিতে চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্যভবনে বিশেষজ্ঞ কমিটি চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন।”
[আরও পড়ুন: অঝোর বৃষ্টি থেকে সাময়িক স্বস্তি, সপ্তাহান্তে ফের রাজ্যে নিম্নচাপের সম্ভাবনা]
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার মীর হোসেন বারির শরীরে। সুস্থ হয়ে ফের কাজেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর তাঁর পেটের সমস্যা দেখা দেয়। সন্দেহ হওয়ায় ফের করোনা পরীক্ষা করলে রিপোর্ট আসে পজিটিভ। এরপরই ভাইরাল লোড পরিমাপ করে চিকিৎসা করার বিষয়ে আলোচনা করেন চিকিৎসকরা। কী এই পদ্ধতি? হাসপাতাল সূত্রে খবর, কোনও করোনা আক্রান্ত সেখানে ভরতি হলে প্রথমে পরীক্ষা করে দেখা হবে, তার শরীরে ভাইরাসের পরিমাণ ঠিক কতটা। এরপর অবস্থা বুঝে চিকিৎসা করা হবে। জানা গিয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যেই এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু হবে কলকাতা মেডিক্যালে। প্রসঙ্গত, শুধু মীর হোসেন নন, রাজ্যের আরও কয়েকজনও দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।