ঠিক হয়েছে, শুধু বৈদ্যুতিক বাস-অটোই নয়, গঙ্গাবক্ষে নামানো হবে ই-ভেসেলও। গঙ্গাদূষণ কমিয়ে জলপরিবহণকে আরও ঢেলে সাজাতে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, আগামিদিনে ডিজেল চালিত বাস না চালিয়ে যতটা সম্ভব পরিবেশবান্ধব ই-বাস এবং ই-অটো চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সাহায্য নেওয়া হতে পারে। একইসঙ্গে সরকারি বাসে টিকিট চুরি আটকাতে আরও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ এদিন পরিবহণমন্ত্রী দিয়েছেন বলে দপ্তরসূত্রে খবর। কারণ বিধিনিষেধ ওঠার পর সরকারি বাস চালু হলেও টিকিট বিক্রি থেকে রোজগার অনেক কমে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় বছর দেড়েক ধরে সেই অর্থে নজরদারি চালানো যায়নি। তাতেই রোজগার কমেছে নিগমের। আর তাই চিন্তা বাড়িয়েছে দপ্তরের।
[আরও পড়ুন: Covid-19: বিধি লঙ্ঘন করে মাঝরাতে ভবানীপুরের দু’টি হুক্কা বারে জমায়েত! গ্রেপ্তার ১০]
দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, এদিন মন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছেন। আগামিদিনে সবক’টি মেট্রো প্রকল্পে পরিষেবা চালু হলে কীভাবে বাস এবং অটো রুটের বিন্যাস হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তাছাড়া ই-অটো বা ই-বাস যদি কেউ চালাতে চান সেক্ষেত্রে কী কী বিষয়ে তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে সব কিছু নিয়েই এদিন আলোচনা হয়েছে। তবে মন্ত্রী বিশেষভাবে বৈদ্যুতিক ভেসেল নামানোর উপর জোর দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ভেসেলের ডিজাইন কী হবে, কত খরচ পড়বে তা নিয়েও কথা হয়েছে। বৈঠকে প্রতিটি নিগমের এমডি-রা ছিলেন। এছাড়া ছিলেন পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা। তাঁদের কথায় ই-বাসের উপর পরিষেবা নির্ভর করলে জ্বালানির দাম বাড়লেও ভাড়া বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। তাছাড়া দূষণের মাত্রাও অনেক কমবে।
[আরও পড়ুন: ‘জাগো বাংলা’য় আবারও কলম ধরলেন অনিল বিশ্বাসের কন্যা, এল কি Mamata প্রসঙ্গ?]
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights
- দূষণ কমিয়ে যাত্রী পরিষেবা আরও ভাল করতে রাজ্যজুড়ে ইলেকট্রিক বাস, অটো এবং ভেসেল নামানোর পরিকল্পনা পরিবহণ দপ্তরের।
- আগামী বছরের মধ্যে শহর-শহরতলিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা মসৃণ করতে প্রায় হাজারখানেক ই-বাস বা বৈদ্যুতিক বাস নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
- এ বিষয়ে বুধবার কসবায় পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়।