সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভেনিসের ধাঁচে ভাসমান বাজার পেয়েছে কলকাতা। তিলোত্তমার সৌন্দর্যে আরও এক পালক। এবার ভেনিস, লন্ডন, দুবাই বা ব্যাংককের মতো মহানগরে চালু হতে চলেছে ওয়াটার ট্যাক্সি। দক্ষিণেশ্বর থেকে বেলুড় এবং মিলেনিয়াম পার্ক পর্যন্ত চলবে এই আরামদায়ক জলযান।
[আয় বাড়াতে ঘুম চোখেই স্টিয়ারিংয়ে হাত চালকদের, বাড়ছে বিপদ]
সব কিছু ঠিক থাকলে আর কয়েক মাসের মধ্যে গঙ্গাবক্ষে চালু হতে যাচ্ছে ওয়াটার ট্যাক্সি। এমন কর্মকাণ্ডের প্রধান উদ্দেশ্য পর্যটকদের চোখে নতুন কলকাতাকে চেনানো। এই প্রকল্পের জন্য টেন্ডারের প্রাথমিক কাজও শেষ। কী থাকছে এই অন্যরকম যানে? পরিবহন দপ্তর সূত্রে খবর, ওয়াটার ট্যাক্সির অন্যতম উদ্দেশ্য যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য। পাশাপাশি সুরক্ষার বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে। তার জন্য জলযানে ৮টি আসন থাকছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় ট্যাক্সিতেই থাকবে লাইফ জ্যাকেট। প্রথম পর্যায়ে দুটি ট্যাক্সি আনা হচ্ছে। তবে তা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত নয়। ওয়াটার ট্যাক্সির দাম পড়ছে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। ওড়িশার একটি সংস্থার কাছ থেকে ওয়াটার ট্যাক্সিগুলি কিনেছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। প্রাথমিকভাবে দক্ষিণেশ্বর থেকে বেলুড় রুটে যাতায়াত করবে। পরবর্তীতে মিলেনিয়াম পার্কেও তা জুড়বে। ইতিমধ্যে দক্ষিণেশ্বর-বেলুড় রুটে পারাপারের জন্য ভুটভুটি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রামকৃষ্ণদেব, মা সারদা, স্বামী বিবেকানন্দর স্মৃতি বিজড়িত দুই পর্যটন ক্ষেত্রে এবার যাতায়াতের জন্য আসছে ওয়াটার ট্যাক্সি। এই আরামদায়ক যাত্রার জন্য টিকিট বা ভাড়ার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
[বড়বাজারে রমরমিয়ে ‘ডাব্বা ট্রেডিং’, রাজ্য জুড়ে তদন্তে দুর্নীতি দমন শাখা]
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, এই রুটে যাত্রীদের থেকে সাড়া পেলে রাজ্যে অন্যত্রও ওয়াটার ট্যাক্সি নামানো হবে। কারণ দক্ষিণেশ্বর এবং বেলুড় মঠে সারা বছর অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। তাদের কাছে এই ওয়াটার ট্যাক্সি আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের অন্য নদীগুলিতেও চালু হবে এই জলযান। দেশের মধ্যে একমাত্র বারাণসীতে এধরনের ওয়াটার ট্যাক্সি রয়েছে। উত্তর পূর্বের গুয়াহাটিতে এক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে এমন জলযান চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
[মৃত্যুর মুখোমুখি ১৫ হাজার জীবনদায়ী ওষুধ!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.