Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kolkata Bengali news

আড়ম্বর নয়, করোনা কালে পুজোয় মানবিকতার উৎসব পালন করবে কলকাতার টালা পার্ক প্রত্যয়

কী বিশেষ উদ্যোগ নিল এই পুজো কমিটি?

Kolkata Bengali news: Kolkata’s Tala Park Prattyay set to celebrate Durga Puja 2020 in different way | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:September 17, 2020 10:31 pm
  • Updated:September 18, 2020 12:48 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রেষ্ঠ উৎসবের আড়ম্বর তো প্রতিবারই দেখেছে বাঙালি। কিন্তু সংকটের দিনে এবার তিলোত্তমার দুর্গাপুজোর (Durga Puja) মানবিক দিকটা প্রকাশ পাবে। একাধিক পুজো কমিটির প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা কিন্তু সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে। করোনা কালে পুজোর জাঁকজমক কমিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে এবার। আর সেই লক্ষ্যেই মহালয়ার (Mahalaya) পুণ্যতিথিতে একধাপ এগোল উত্তর কলকাতার টালা পার্ক প্রত্যয়।

বিগত কয়েক বছরে দারুণভাবে নজর কেড়েছে জনপ্রিয় এই পুজো কমিটি। শিল্পের সংজ্ঞাই কার্যত বদলে দিয়েছিল এই মণ্ডপের সৃজন। পুজোপ্রেমীদের বিস্মিত করেছে এর শৈল্পিক সৃষ্টি। স্বাভাবিকভাবেই বহু নামজাদা পুজোকে তাই পিছনে ফেলে পুরস্কারের ঝুলিও ভরাতে পেরেছে তারা। কিন্তু এবার পরিস্থিতি একেবারে অন্যরকম। মারণ করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) ত্রস্ত মানুষ। তাই এমন কঠিন সময়ে অভিনব পন্থায় সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করল টালা পার্ক প্রত্যয়।

Advertisement

tala park prattayay

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বাজল তোমার আলোর বেণু…’, গান গেয়ে মহালয়ায় দেবী দুর্গাকে শারদ অর্ঘ্য মুখ্যমন্ত্রীর]

গতবার এই ক্লাবে পা রেখে দর্শনার্থীরা ‘কল্পলোকে’ বিচরণ করেছিলেন। কিন্তু এবার বাস্তবের শক্ত মাটি ‘লোকহিত’ই উদ্দেশ্য। অর্থাৎ সমাজের ভাল হবে, এমন কিছু কাজই করবে পুজো কমিটি। দেবীর ত্রিনয়নে চক্ষুদানের সঙ্গেই তার তুলনা করা হচ্ছে। আর প্রথম চক্ষুদান হিসেবে এদিন স্যানিটেশন ভেহিকল বা জীবাণুনাশক গাড়ি রাস্তায় নামাল তারা। থিমশিল্পী সুশান্ত পাল মায়ের তৃতীয় নয়নের রেপ্লিকায় চক্ষুদান করেই এর শুভ সূচনা করলেন। এই স্যানিটেশন ভেহিকলটি পৌঁছে যাবে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। করোনা মোকাবিলায় যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলেই আশা পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা চিরঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের।

tala park

তিনি জানান, “মায়ের ত্রিনয়নের তিনটি নয়ন ক্রমে যেমন প্রকাশিত হয়, ঠিক সেভাবেই আমরা মানুষের হিতে একাধিক কাজ করে যাব। মহালয়াতেই এর সূচনা হল। যা কলকাতার মানুষের হিতে কাজ করবে।” এরপর? চিরঞ্জীববাবু জানালেন, ধীরে ধীরে তাঁদের সমাজকল্যাণের কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আনা হবে।

[আরও পড়ুন: শোভাবাজার রাজবাড়ি থেকে বাংলাদেশের দুর্গাপুজো, ভারচুয়াল পুজো পরিক্রমা এবার এক ক্লিকেই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ