Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kunal Ghosh

ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়কদের থেকে উদ্ধার লক্ষাধিক টাকা, ‘কোন অপারেশনে শুভেন্দু’?, প্রশ্ন কুণালের

টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি।

TMC raises question on 'operation' by Suvendu Adhikari after lakhs of notes rescued from congress MLAs in Jharkhand | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 31, 2022 6:04 pm
  • Updated:July 31, 2022 9:10 pm

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: হাওড়ায় (Howrah) ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ব্যাগভরতি টাকা। এখনও পর্যন্ত এই অঙ্ক ৫০ লক্ষের কাছাকাছি। শনিবার রাতে হাওড়ার পাঁচলায় ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) নম্বরপ্লেট লাগানো গাড়ি থেকে এত বিপুল অর্থ উদ্ধারের ঘটনার পরই সরব হয়েছিল তৃণমূল (TMC)। একাধিক টুইট করে এই অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন শাসক শিবিরের নেতারা। আর রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এর নেপথ্যে আঙুল তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে। ধৃত তিন কংগ্রেস বিধায়ককে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের (PC) নির্দেশ দিয়েছে হাওড়া আদালত।

Advertisement

এদিন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)বলেন, ”সুকান্ত মজুমদার একটা স্টেটমেন্ট দিয়েছেন। ঝাড়খণ্ড বিধায়কদের ধরা পড়ার ২৪ ঘন্টা আগে। তিনি বলেছিলেন, শুভেন্দু একটা অপারেশনে আছে, নাগপুরে। তারপরই এই বিধায়করা ধরা পড়লেন। তাহলে ধরে নেওয়া হচ্ছে, এই অপারেশনে শুভেন্দু আছেন। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করুক সিআইডি।” তাঁর স্পষ্ট প্রশ্ন, কোন অপারেশনের কথা বলেছিলেন সুকান্ত? এই টাকার উৎস কোথায়? কাদের কাছে থেকে উদ্ধার হল? ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের আরও বক্তব্য, শোনা যাচ্ছে, তাঁরা অসম থেকে নাকি ফিরছিলেন। কেন অসমে, সেটা তদন্তকারীরা বলতে পারবেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাঠ্যবই থেকে পার্থর নাম সরানোর দাবি অনুপম হাজরার, পালটা দিল তৃণমূল]

বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ”এই ঘটনার সঙ্গে মহারাষ্ট্রের মতো ঘটনার যোগ আছে। শুভেন্দু আর হিমন্তকে আলাদা করার জায়গা নেই। বাংলার পাশেই ঝাড়খণ্ড। আমাদের রাজ্য নিয়ে চিন্তিত। এখানে বসেই শুভেন্দু বলেছিলেন, ঝাড়খণ্ড হবে, তেলেঙ্গানা হবে, বাংলা হবে। শুভেন্দু তাই এটায় ছিলেন। এটা মানি ট্রেল। এখনই শুভেন্দুকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করা উচিত। এটা গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তা। পিছনের দরজা দিয়ে টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনার চেষ্টা। এখন দর্পচূর্ণ হওয়ার সময়।”

[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর গড়ে ফের ধাক্কা! কাঁথিতে সমবায় সমিতির ভোটে খাতাই খুলতে পারল না BJP]

শনিবার এই টাকা উদ্ধারের পরই তৃণমূলের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছিল, এই অর্থ কি তবে ঘোড়া কেনাবেচার জন্য আনা হচ্ছিল? ঝাড়খণ্ড সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে? যার মূল শক্তি এই টাকা।সবমিলিয়ে, ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার উৎস নিয়ে রাজনৈতিক তো বটেই, কেন্দ্রীয় সংস্থার উপরও চাপ বাড়াতে মরিয়া তৃণমূল। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ