ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পহেলগাঁও হামলার কড়া জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। তাঁদের সেই বীরবিক্রমকে সম্মান জানাতে মঙ্গলবার প্রস্তাব পেশ হয়েছিল বিধানসভায়। সেই প্রস্তাব নিয়ে বলতে উঠে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের অভিযানে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে আনার সুযোগ ছিল বলে মত তাঁর। মমতার কথায়, “সেনাদের পুরোপুরি সম্মান জানিয়ে বলব কেন্দ্র সরকারকে আরও স্ট্রং হওয়া উচিত।”
কাশ্মীরের বৈসরণে হামলার পরই নিন্দায় সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘টার্গেট কিলিং’য়ের পর সংখ্যালঘুদের জেহাদি বলে দাগিয়ে দিচ্ছিল সমাজ ও রাজনীতিবিদদের একাংশ। এমন পরিস্থিতিতে মমতা সাফ দাবি করেছিলেন, সন্ত্রাসবাদের কোনও জাত-ধর্ম হয় না। এদিনও বিধানসভায় বলতে উঠে তিনি বলেন, “আমরা সন্ত্রাসবাদের সমর্থক নই। সন্ত্রাসবাদের কোনও জাত ধর্ম হয় না। ট্যুরিস্টদের উপর অত্যাচার হয়েছে। খুন হয়েছে। শুধু শোক জানিয়ে ছোট করে ব্যাপারটা শেষ হয় না। তাদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই।”
পহেলগাঁও হামলায় বাংলার ৩ জন মারা গিয়েছিলেন। একজন টাট্টু চালক পর্যটকদের সাহায্য করেছিলেন। সেই স্মৃতির উল্লেখ করে মমতা বলেন, “এক সংখ্যালঘু যুবক প্রাণ দিয়েছেন হিন্দুদের বাঁচাতে। তাকেও কুর্নিশ জানাই।” সেনাবাহিনীর প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “সেনাবাহিনীকে আমরা সম্মান জানাই। ৩ বাহিনীকেই আমার সেলাম জানাই। সন্ত্রাসবাদের কোনও ক্ষমা নেই।”
এরপরই ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রকে মমতার খোঁচা, “জঙ্গিরা কোথা থেকে এল, মেরে দিয়ে চলে গেল। তাদের ধরা হল না। এবার তো সুযোগ ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে আমরা ফেরত আনতে পারতাম। নিজেদের মধ্যে কোনও গ্যাপ হচ্ছে না তো যার জন্য বহিরাগত শক্তি ঢুকছে? কেন্দ্র সরকারকে আরও স্ট্রং হওয়া উচিত।”
একইসঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের কমিটিতে পাকিস্তানকে রাখা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। কেন্দ্রীয় সরকার কেন কূটনীতির মারপ্যাঁচে এই পদ পাওয়া আটকাতে পারল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.