Advertisement
Advertisement
Majherhat Bridge

‘জয় হিন্দ’ সেতু তৈরিতে রাজ্যের টাকা ফেরতের দাবি, উদ্বোধনেও রেলকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর

উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী নিজেই হাঁটলেন নতুন সেতুর উপর।

Mamata Banerjee slams Rail for non co-operation to rebuild Majherhat Bridge even at inauguration programme| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 3, 2020 5:29 pm
  • Updated:December 3, 2020 9:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু বছর তিন মাস পর ফের নতুন রূপে চালু হল ‘জয় হিন্দ’ সেতু তথা কলকাতা-বেহালা সংযোগকারী মাঝেরহাট ব্রিজ (Majahrhat Bridge)। পূর্বঘোষণামতো বৃহস্পতিবার বিকেলে তার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নেতাজিকে শ্রদ্ধাপ্রদর্শনে তাঁর বিখ্যাত স্লোগানের নামেই এই সেতুর নামকরণ করার কথা আবার স্মরণ করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ”নেতাজির পদতলে এভাবেই শ্রদ্ধা জানালাম।” এই সেতু তৈরিতে রেলের হাজারও অসহযোগিতার অভিযোগে উদ্বোধনী ভাষণেও রেলকে বিঁধলেন তিনি। পাশাপাশি, কাজে দেরি হওয়ার জন্য শহরবাসীর কাছে দুঃখপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Majherhat Bridge

Advertisement

৪ সেপ্টেম্বরে, ২০১৮। বিকেলের দিকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ। মূল কলকাতা থেকে বেহালা-জোকা এলাকার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চরম সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। মাঝেরহাট ব্রিজের দৌলতে যে দূরত্ব খুব কম সময়ে পৌঁছনো যেত, সেটাই অনেকটা সময় ধরে যাতায়াত করতে বাধ্য হন তাঁরা। অবশেষে এই যন্ত্রণার অবসান। বৃহস্পতিবার একেবারে নতুন রূপে, নতুন নামে খুলে গেল নবনির্মিত ব্রিজটি। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মতো ঝুলন্ত সেতুর ধাঁচে তৈরি হয়েছে ‘জয় হিন্দ’ সেতুটি। তবে এই নির্মাণ খুব সহজে হয়নি। রেলের অংশে সেতুটি নির্মিত হওয়ার কারণে কাজ এগোতে রাজ্যের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সংঘাত তৈরি হয়েছে। কাজে বিলম্বের জন্য একে অন্যের উপর দোষারোপ করেছে দু’পক্ষই। শেষমেশ গত সপ্তাহে সেতু চালু করতে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেয় রেল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর! নতুন বছরের শুরুতেই মিলবে DA, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]

এদিন উদ্বোধনী ভাষণেও রেলকে সেসব নিয়ে বিঁধতে ছাড়লেন না মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ”আমরা সব কাজ করব আর রেল কৃতিৃত্ব নেওয়ার চেষ্টা করবে? তা কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। কেন তাহলে এতদিন কাজে ছিল না রেল?” এমনকী আর্থিক বিষয় নিয়েও রেলের প্রতি তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন। সেতু নির্মাণে রাজ্যের অবদান এবং আর্থিক খরচের কথা উল্লেখ করে এই কাজের জন্য রাজ্যের তরফে যে ৩৪ কোটি টাকা নিয়েছে রেল, তা ফেরত দিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের কাছে ব্রিজটির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, নিয়ম মেনে যাতায়াত, হেলমেটহীন অবস্থায় বাইক না চালানো-সহ একাধিক আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

[আরও পড়ুন: ‘দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলা প্রথম’, কর্মসংস্থানের খতিয়ান তুলে ধরে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর]

তবে এদিনও সেতু উদ্বোধনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ নিয়ে টুইটারে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর দাবি, বিজেপির লাগাতার চাপে পড়েই নাকি মমতা সরকার সেতুর কাজে গতি এনেছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ