Advertisement
Advertisement

Breaking News

vegetables

লকডাউনের আবহে সবজি বাজারে আগুন, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেওয়ার পরেও কমেনি আলুর দাম।

market price of vegetables is too high in kolkata, people face problem

ফাইল ছবি।

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 26, 2020 7:51 pm
  • Updated:July 26, 2020 7:51 pm

নব্যেন্দু হাজরা: সবজি বাজারে আগুন। আদা, রসুন ও লঙ্কা ডাবল সেঞ্চুরি পার করে ট্রিপলের দিকে এগোচ্ছে। পটল, ঢেঁড়স আর টমেটো হাফ সেঞ্চুরি পার করে সেঞ্চুরির দিকে। আলু ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ টাকা। বাজার হেরফেরে দাম। মাছ-মাংস বাদই রইল। লকডাউনের আবহে সবজি (vegetable) বাজারে হাত ছোঁয়ানোই দায় হয়েছে মধ্যবিত্তের।

এমনিতেই গত কয়েক মাসে বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। আর দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের তো রুজি রোজগারই বন্ধ। এই অবস্থায় কাঁচা আনাজের বাজারে দামের ছ্যাঁকায় আলুসেদ্ধ ভাত জোগানোটাও সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে বহু মানুষের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জিনিসের যে যোগান কমেছে তেমনটা নয়। তবু সব কিছুরই দাম বেড়েছে। কারণ মাছ ও সবজি সবকিছু আনার খরচ আগের থেকে অনেক বেড়ে গিয়েছে। যেহেতু ট্রেন বন্ধ, তাই অল্প মাল আনতেও গাড়ি ভাড়া করতে হচ্ছে তাঁদের। সে ক্ষেত্রে খরচও কয়েকগুণ বাড়ছে। সেই দামটা তাঁদের সবজির উপর দিয়েই তুলতে হচ্ছে। তাই দিনকয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলুর দাম কমানোর নির্দেশ দিলেও এখনও আলুর দাম যে তিমিরে ছিল রবিবারও সেখানেই রয়েছে। চন্দ্রমুখী জ্যোতি কোনও আলুরই দাম কমেনি কোথাও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দীর্ঘ ট্রেনযাত্রায় ক্লান্ত? এবার রাজ্যের এই স্টেশনে নেমেই করিয়ে নিন স্পা ]

শনিবার ছিল লকডাউন (Lockdown)। ফলে সব বাজারই ছিল বন্ধ। তাই রবিবার সকাল হতেই ব্যাগ হাতে বাজারে ছোটেন পাবলিক। কিন্তু, জিনিস মাপতে গিয়েই দামের ফিরিস্তি শুনে ব্যাগ ভরতি না করেই ফিরতে হয়েছে তাঁদের। কাঁচা লঙ্কা আড়াইশো, রসুন আড়াইশো, টমেটো আশি, ঢেঁড়স ষাট, পটল পঞ্চাশ ও বেগুন পঞ্চাশ টাকা প্রতি কেজি। আর শনিবার লকডাউন থাকায় এদিন কোনও কোনও বাজারে দাম আরও বাড়ছে। দোকানদারদের দাবি, একদিন বাজার বন্ধ থাকলে প্রচুর সবজি পচে যায়। জিনিসপত্র নষ্ট হয়। স্বাভাবিকভাবেই তাই পরদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। তাছাড়া ফড়েদের উৎপাত তো আছেই।

Advertisement

অন্যদিকে ক্রেতাদের কথায়, কাঁচা আনাজের দামও যদি এত বাড়ে, তবে খাওয়া দাওয়া তো ছাড়তে হবে। বাজারের হেরফেরে কিছুটা দাম এদিক ওদিক হচ্ছে বটে তবে গড়পড়তায় একই। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগে লোকাল ট্রেনে ভেন্ডার কামরায় সবজি আনা নেওয়া চলত। এখন তো সেই উপায় নেই। ছোট হাতি বা ছোট ট্রাকে করে সবজি আনতে হয় এখন। ফলে সবজি আনার খরচ বেড়েছে অনেকটাই। প্রথম দিকে এতটা খারাপ পরিস্থিতি হয়নি। কিন্তু, এখন ডিজেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি ভাড়াও বেড়েছে। সেই খরচটা তো কোনও ব্যবসায়ী আর পকেট থেকে দেবেন না। বাধ্য হয়েই তাই জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: ‘বাবা অনেকটাই ভাল আছেন, বিভ্রান্তি ছড়াবেন না’, আবেদন সোমেন মিত্রর ছেলে রোহনের]

ওয়েস্ট বেঙ্গল ভেন্ডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও রাজ্যের কৃষি বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য কমল দে বলেন, ” বাইরে থেকে সবজি আনার খরচ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে বাধ্য হয়ে খোলা বাজার থেকে খুচরো বাজার সর্বত্রই দাম বাড়ছে। আর লকডাউনের কারণে বাজার বন্ধ থাকায় অনেক সবজি পচে যায়। পরদিন বাজারে জিনিসের দাম বাড়ার সেটাও একটা বড় কারণ।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ