Advertisement
Advertisement
Matua Community

একই নামে ঘোষিত দু’টি কমিটি, ঠাকুরবাড়ির রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে বিভ্রান্ত মতুয়ারা

অভিযোগ, সম্প্রদায়ের উন্নয়ন নেই, শুধুই খেয়োখেয়ি চলছে।

Matua Community got confused as 2 committee formed with the same name | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 29, 2020 5:27 pm
  • Updated:November 29, 2020 5:27 pm

সুব্রত বিশ্বাস: ঠাকুর বাড়ি দ্বিধা বিভক্ত হওয়ায় বিপাকে মতুয়ারা। রবিবার রাস পূর্ণিমার দিন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের একই নামে দুটি কমিটি গঠন হওয়ায় বিভ্রান্ত মতুয়ারা। পাশাপাশি ক্ষুব্ধও। তাঁদের অভিযোগ, পারিবারিক দ্বন্দ্বে হরিচাঁদ, গুরুচাঁদের মতুয়া সম্প্রদায় বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। এক কমিটির নির্দেশ সাম্প্রদায়টি পরিচালিত হত। এখন কয়েক বছর ধরে এই ধর্মীয় সংগঠনে রাজনৈতিক রং লেগেছে।

রবিবার অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের নামে দুটি কমিটি ঘোষিত হল। একটির সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর এবং অন্যটি মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। মমতাবালা তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ। তাঁকে পরাজিত করে মঞ্জুলকৃষ্ণর ছেলে শান্তনু ঠাকুর বিজেপির বনগাঁর সংসদ হন। দুই যুযুধান শিবিরের রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত ক্ষেত্রে মার খাচ্ছেন মতুয়ারাই (matua community)। কার্যত পিছিয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করেন মমতাবালা ঠাকুরের কমিটির কার্যকরী সম্পাদক ও হাওড়া জেলার সভাপতি জহর বিশ্বাস। তিনি বলেন, পরম ব্রহ্ম হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রকৃত চিন্তাভাবনা নষ্ট হচ্ছে। মতুয়া উন্নয়ন পরিষদে ১০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠাকুরবাড়ির তিন বিঘা জমির মধ্যে শক্তি মন্দির ও পুকুর ছাড়া সব সম্পত্তি পরিবারের তিন জনের নামে। এই সম্পত্তি দানের মাধ্যমে ট্রাস্টিতে না গেলে উন্নয়ন হবে না। বিধবাদের আশ্রম, যাত্রী নিবাস শুরু হয়েও কাজ এগোয়নি। পিলার ভেঙে পড়ছে। সম্প্রদায়ের উন্নয়ন নেই, শুধুই খেয়োখেয়ি চলছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কবে থেকে খুলবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়? সিদ্ধান্ত জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়]

Advertisement

রবিবার দুটি সংগঠন আলাদা আলাদা ভাবে রাজনৈতিক মঞ্চ গড়ে আলাদা দুটি কমিটি ঘোষণা করে। দুটি কমিটিই অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের নামে। এনিয়ে দু’তরফে পারস্পরিক দোষারপ করা হয়েছে। মমতাবালা ঠাকুর বলেন, “আমার শ্বশুর স্বামী কপিলকৃষ্ণকে সংঘাধিপতি ঘোষণা করে যান। তাঁর মৃত্যুর পর আমি সংঘাধিপতি। গায়ের জোরে কেউ সেই কমিটি মিথ্যে ভাবে নিজেদের করতে চাইলে কী করব।”

একই সুরে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর বলেন, “ওরা গায়ের জোরে কমিটির নাম একই রেখেছে। আমরাই প্রকৃত কমিটি।” আর এই টানাপোড়েনেই বিধ্বস্ত মতুয়ারা। এদিন সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে মঞ্চ করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে বীনাপানিদেবীর ঘর থেকে আলাদা কমিটি ঘোষণা করেন মমতাবালা ঠাকুর।

[আরও পড়ুন: ‘লিফটে উঠলে আমিও ৩৫টা পদের অধিকারী হতাম’, নাম না করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ অভিষেকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ