Advertisement
Advertisement

Breaking News

রিজার্ভ ব্যাংক

রিজার্ভ ব্যাংকে কর্মী নিয়োগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার বাংলা! আন্দোলনে কর্মচারী সংগঠন

হস্তক্ষেপের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ রিজার্ভ ব্যাংক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন।

Member of Reserve Bank Employees Association meets with Bengal's CM
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 5, 2020 9:36 am
  • Updated:February 5, 2020 9:36 am

স্টাফ রিপোর্টার: রিজার্ভ ব্যাংকে দেশে মোট ৯২৬ জনের চাকরি হচ্ছে। আর কলকাতায় নিয়োগ হচ্ছে মাত্র ১০ জনের। সিকিমে একজন। শাখা হিসাবে দেখলে ১১ জন। এর প্রতিবাদে আগেই আন্দোলনে নেমেছিল কলকাতা শাখার কর্মী সংগঠনগুলি। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁর দ্বারস্থ হল রিজার্ভ ব্যাংক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার সংগঠনের কর্তারা তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সমীর ঘোষ, সাধারন সম্পাদক সন্তুপদ মজুমদার। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি বিস্তারিত বলেন। এবং দাবি করেন, তিনি যেন বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী, রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন। সন্তুবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কথা শুনেছেন। তিনি তাঁর দলের সাংসদদের এ নিয়ে সরব হতে বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনিও মনে করেন এটা কেন্দ্রীয় বঞ্চনা।”

Advertisement

কিছুদিন আগে নবান্নে গিয়ে সমীরবাবুরা একটি চিঠি দিয়ে এসেছিলেন। তারপর গত ৩১ জানুয়ারি কালীঘাটে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে তাঁদের মঙ্গলবার দেখা করতে বলা হয়। সেইমতো তাঁরা এদিন যান। কথা বলে তাঁরা খুশি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বনগাঁয় জনসভাতেও বিষয়টি তোলেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্র সবদিক থেকে কলকাতাকে বঞ্চনা করছে। রিজার্ভ ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রেও পক্ষপাতিত্ব চলছে। কলকাতা শাখা তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। বিজেপি সরকার যে সব ক্ষেত্রেই প্রতিহিংসাপরায়ণ এটাও তার প্রমাণ।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ৫ লক্ষ টাকা আদায়, কাঠগড়ায় JNU-এর গবেষক]

কলকাতা পেয়েছে মাত্র ১০ জন। অথচ মুম্বই ৪১৯, দিল্লি ৩৪, চেন্নাই ৬৭ জন পেয়েছে। কলকাতার শাখা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম। অথচ তার চেয়ে বেশি চাকরি হয়েছে জম্মুর মতো ছোট অফিসে। সেখানে নিয়োগ করা হচ্ছে ১৩ জনকে। যাকে বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা হিসাবেই দেখছে রিজার্ভ ব্যাংকের কর্মী সংগঠনগুলি। ইতিমধ্যেই আন্দোলন শুরু হয়েছে। রাজনীতি ভুলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হতে প্রতিটি দলকে ডাকা হয়েছে। সন্তুপদবাবু বলেন, “আমরা ফের বৈঠকে বসছি। সেখানে পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ