নব্যেন্দু হাজরা: আর মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। বইতে পারে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। সোমবার আশঙ্কার খবর শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
সোমবার সকালে রোদের দেখা মিলেছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে কমে রোদের তেজ। দুপুরের পর কালো মেঘে ঢেকে যায় গোটা আকাশ। বইতে শুরু করে হাওয়া। বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চারে বৃষ্টির সম্ভাবনা এড়ানো যাচ্ছে না। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী কয়েকঘণ্টার মধ্যে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝড়বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। তবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দার্জিলিং, কালিম্পং আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতেও। বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গের এই পাঁচ জেলায়।
[আরও পড়ুন: ‘তথ্য গোপন করে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা অসম্ভব’, রাজ্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রাজ্যপাল]
গত ২০ মে রাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। ১৩৩ কিলোমিটার বেগের ঝড়বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবন। ভেঙে গিয়েছে একাধিক নদীবাঁধ। উপড়ে গিয়েছিল বহু গাছ। তার ফলে শহর থেকে গ্রাম প্রায় সর্বত্রই পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে যায় বিদ্যুৎ পরিষেবা। পানীয় জলও ঠিকমতো পাননি ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই। বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় CESC’র বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শহরাঞ্চলের আমজনতা। প্রতিবাদে দফায় দফায় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। আমফানের রেশ কাটতে না কাটতেই সপ্তাহখানেক পর গত বুধবার সন্ধেয় আবারও বাংলায় ঝড়বৃষ্টি হয়। তাতেও শোভাবাজার, যাদবপুর-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় গাছ ভেঙে যায়। তারপর চার-পাঁচদিন রাজ্যে ঝড়বৃষ্টি চলবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। সেই মতো ঝড়বৃষ্টিও হয়। সোমবারও আবারও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের।