Advertisement
Advertisement
DYFI

তৃণমূল-বিজেপি উভয়ের বিরুদ্ধে লড়াই, ব্রিগেডে টেস্ট খেলার বার্তা দিলেন মীনাক্ষী

'সিস্টেম' বদলের লড়াইয়ে মীনাক্ষী, সেলিম বোঝালেন বামপন্থার আসল অর্থ।

Minakshi Mukherjee wants to fight against both TMC and BJP, calls for test match in politics from Brigade | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 7, 2024 4:33 pm
  • Updated:January 7, 2024 5:28 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতির লড়াই। তার চেয়েও বেশি সমাজ বদলের লড়াই। কিন্তু সেই লড়াই বোঝাতে গিয়ে চলে এল ক্রিকেটের প্রসঙ্গ। সেও তো এক লড়াই এবং নিরন্তর প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করার খেলা। রবিবার ব্রিগেডের ময়দানে ডিওয়াইএফআই-এর (DYFI) রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এই লড়াই কথা বলতে গিয়েই ক্রিকেটের তুলনা টানলেন। বললেন, ”টি-টোয়েন্টি নয়, টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে। অর্থাৎ আমাদের লড়াই এখানেই শেষ হবে না। গোটা সিস্টেম বদলে দেওয়ার লড়াইয়ে নেমেছি। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে মানুষজন আমাদের এই লড়াইয়ে শামিল হোন, আজ এটাই চাইছি আপনাদের থেকে।”

এদিন মীনাক্ষীর বক্তব্যের দিকে নজর ছিল সকলের। তিনিও আধঘণ্টার ঝাড়া বক্তৃতায় শীতের দুপুরে কলকাতার রাজনৈতিক মহল তপ্ত করে তুললেন। আসানসোলের লড়াকু মেয়ের ভাষণে অনেকেই বামেদের যোগ্য ভবিষ্যত প্রজন্মের খোঁজ পাচ্ছেন। একেবারে মাঠের লড়াই থেকে উঠে আসা মীনাক্ষী ধীরে ধীরে রাজনীতির জমি শক্ত করছেন, হয়ে উঠছেন ভরসাযোগ্য, তা বুঝিয়ে দিলেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘এখনও তাকালে সুদীপ্ত-মইদুলদের দেখতে পাই’, ইনসাফের ব্রিগেডে আবেগপ্রবণ মীনাক্ষী]

মীনাক্ষীর কথায়, ”কে বলছে বামপন্থীরা শূন্য? আরে ওদের তো শূন্যের শক্তি সম্পর্কে ধারণা নেই। শূন্যরা যদি দখলদারির লড়াইয়ে নামে, তাহলে কী হবে, ওদের জানা নেই। আসলে ওরা বামপন্থীদের শক্তিকে ভয় পেয়েছে।” মীনাক্ষীর আরও বক্তব্য, ”আমরা সাংসদ, বিধায়ক হওয়ার জন্য লড়াই করি না। সিস্টেম বদলে দিতে চাই। টেস্ট ম্যাচ খেলতে প্রস্তুত আমরা। তবে মাঝেমধ্যে টি-টোয়েন্টিও খেলতে হবে। আমরা তেমন খেলোয়াড়কেও ময়দানে নামাব। লড়াই ছাড়া বাঁচা যায় না। আপনাদের কাছে আবেদন, বাঁচতে চাইলে লড়াইয়ে শামিল হোন, ময়দানে আসুন। লড়াইটা নীতির, লড়াইটা আদর্শের।” বিজেপি-তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সরব হতে শোনা গেল মীনাক্ষীকে।

Advertisement
ডিওয়াইএফআই-এর সভায় ভিড়। ছবি: ব্রতীন কুণ্ডু।

এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যও একযোগে তৃণমূল-বিজেপিকে বিঁধেছেন। রাজ্যের বেকারত্ব সমস্যা থেকে দুর্নীতি ইস্যুতে বিঁধে সৃজনের খোঁচা, ”এক, দুই, তিন, চার/ শান্তিকুঞ্জে বাটপাড়।” ডিওয়াইএফআই-য়ের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও ছিলেন এদিনের বক্তা তালিকায়। তিনি বলেন, অনেকে প্রশ্ন তোলেন, বামপন্থা-দক্ষিণপন্থার মধ্যে তফাৎ কী? খুব সহজ তফাৎ। কোনও দক্ষিণপন্থীরা কখনও ভুল স্বীকার করে না। বামপন্থীরা ভুল স্বীকার করতে জানে। কারণ, তারা সত্যের পথে চলে। কোনও ফাঁকিবাজি নেই। আপনারা মাটিতে পা রেখে, মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশে তুলে বাঁচার লড়াইয়ের শপথ নিন। ডিওয়াইএফআই-এর প্রতীক লাল তারা। তা কীসের প্রতীক? যখন কম্পাস ছিল না, তখন ধ্রুবতারা দেখে মানুষ দিক নির্ণয় করতেন। আজও বামপন্থী যুবরা নিজেদের লক্ষ্য স্থির রাখার জন্য ওই তারাকেই ধরে রেখেছে। তারা দিকভ্রষ্ট হবে না কখনও।”

DYFI-এর ব্রিগেড সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ছবি: ফেসবুক।

[আরও পড়ুন: ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’, মমতার প্রস্তাবিত রাজ্য সঙ্গীত দিয়েই শুরু বামেদের ব্রিগেড]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ