সুব্রত বিশ্বাস: করোনার কোপে ত্রস্ত বিশ্ব। এই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে লকডাউনে গৃহবন্দি সকলে। তার মধ্যেই এটিএমগুলিতে (ATM) গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন গ্রাহকরা। বেশ কিছু এটিএমে ‘নো ক্যাশ’ (No Cash) দেখে বিচলিত হয়ে ব্যাংকে গিয়ে ভিড় বাড়াচ্ছেন মানুষ। ফলে সামাজিক দূরত্বের কথা শিকেয় তুলে ব্যাংক থেকে টাকা তোলাটাই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতেই সংক্রমণের আশঙ্ক করছেন চিকিৎসকরা।
লকডাউনের জেরে বন্ধ অফিস-কাছারি, স্কুল-কলেজ। কিন্ত লকডাউনের জেরে বন্ধ নয় বাজার, মুদি দোকানের অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের চাহিদা। ফলে এটিএমগুলিতে টাকা তুলতে গিয়েই সমস্যায় পড়ছেন মহানগরের বাসিন্দারা। অনেক এটিএমগুলিতে ‘নো ক্যাশ’ লেখা দেখে মানুষেরা ব্যাংকে ছুটছেন লাইন দিয়ে টাকা তুলতে। ফলে ব্যাংকগুলিত বাড়ছে ভিড়। প্রবীণদের সঙ্গে নবীনেরাও ভিড় জমাচ্ছেন ব্যাংকগুলিতে। কয়েকটি ব্যাংকের শাখায় ভিড় বেড়ে যাওয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলেই অভিযোগ করেন ব্যাংককর্মীরা। এই সমস্যা মেটাতে ডিজিটাল লেনদেনের উপরেই ভরসা করার পরামর্শ সরকারের। তবে অনেক পাড়ার ছোট দোকানগুলিতে এখনও পর্যন্ত ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধা নেই। আবার বহু বাড়ির প্রবীণ নাগরিকেরা ডিজিটাল লেনদেন ব্যবহার করতে অভ্যস্ত নন। অনেক প্রবীণেরা এটিএম জালিয়াতিরও ভয় পান। তাই তাঁদের ভরসা ব্যাংকগুলির উপরেই।
এসবিআই (SBI)-এর পূর্বাঞ্চলের চিফ জেনারেল ম্যানেজার রঞ্জনকুমার মিশ্র জানান, “এমন পরিস্থিতি হওয়ার কথা নয়। রোজই এটিএমে টাকা লোড হচ্ছে। যান্ত্রিক ত্রুটি হলে সমস্যা হতে পারে। না হলে এটিএমে টাকা থাকবে না এমন হওয়ার কথা নয়। তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।” পাশাপাশি এও বলেন, “তিন দিন বাদে ব্যাংক খুলেছে, তাই এদিন ভিড় হতে পারে ব্যাংকগুলিতে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ব্যাংক কাজ করছে। টাকাও পর্যাপ্ত আছে তাই কোনো সমস্যা হবে না।”
তবে লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ব্যাংকগুলিতে কর্মীদের সংখ্যা কম। তাই ভিড় বেড়ে গেলে তা সামাল দিতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন ব্যাংকের নিরাপত্তা রক্ষীরা। অন্যদিকে বাতাসে পারদের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকগুলির ভিতরে ঢুকে অপেক্ষা করতে চাইছেন প্রবীণ নাগরিকেরা। তাই ব্যাংকের ছোট শাখাগুলিতে মানবিকতার খাতিরে বাধাও দেওয়ায় সমস্যা। তবে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রেখে চেষ্টা করা হচ্ছে পরিষেবা দেওয়ার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.