Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা ভাইরাস

আতঙ্কের মাঝে স্বস্তি, কোয়ারেন্টাইনে থাকা দুর্গাপুরের নার্সিংহোমের ২৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ

করোনায় মৃত রোগীর সংস্পর্শে আসার পরই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় তাঁদের।

27 people who quarantine in Durgapur's nursing home report negative

ছবি প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 13, 2020 3:01 pm
  • Updated:April 13, 2020 3:28 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: করোনা আতঙ্কের মাঝে মিলল স্বস্তি। দুর্গাপুরের বিধাননগরের বেসরকারি হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২ চিকিৎসক-সহ ২৭ জনের শারীরিক নমুনায় মিলল না করোনার প্রমাণ। করোনায় মৃত রোগীর সংস্পর্শে আসার পরই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় তাঁদের। তাই তাঁদের নমুনা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় স্বস্তিতে স্থানীয় বাসিন্দারা।

৭ এপ্রিল আসানসোলের জাহাঙ্গির মহল্লার বাসিন্দা তথা ইউনানী চিকিৎসক বিধাননগরের এক বেসরকারি হাসপাতালে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভরতি হয়। এরপর সেই হাসপাতাল থেকে ওই চিকিৎসককে মলানদিঘিতে করোনার চিকিৎসার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ৯ এপ্রিল ওই হাসপাতালেই বছর একাত্তরের ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। ওই চিকিৎসকের মৃত্যুর পরেই সারা শহরজুড়ে করোনা আতঙ্ক মাথাচাড়া দেয়। এদিকে চিকিৎসকের মৃত্যুর পর বিধাননগরের ওই হাসপাতালের ২ জন চিকিৎসক-সহ ২৭ জন নার্স ও স্টাফদের তড়িঘড়ি হাসপাতাল থেকে সরিয়ে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের জীবাণু সংক্রমিত হয়েছে কিনা তা জানার জন্য নমুনা পরীক্ষা করতে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়। রবিবার রাতে পরীক্ষার ফলাফল এসে পৌঁছয় দুর্গাপুরে।

Advertisement

তাতেই জানা যায়, ওই ২৭ জনের শরীরে কোনরকম করোনার সংক্রমণ মেলেনি। এছাড়াও, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা আরও ৪ জনেরও নমুনা পরীক্ষা করতে কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল আর তাদের পরীক্ষার রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। বিষয়টি জানার পরেই আপাতত হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন শিল্পাঞ্চলবাসী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজনীতি ভুলে করোনা রোখার লড়াই, তৃণমূল কর্মীদের হাতে মাস্ক তুলে দিলেন বিজেপি বিধায়ক]

এর আগে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালেও গত ৩০ মার্চ মহেশতলার বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সি এক যুবক এনআরএস হাসপাতালে ভরতি হন। দিনদুয়েক পর ১ এপ্রিল রাতে তাঁর নানা উপসর্গ ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই রোগীর উপসর্গের কথা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। মেডিসিন ওয়ার্ডে রেখেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। অভিযোগ, নিয়ম মেনে তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়নি। পরিবর্তে ওই যুবককে রাখা হয় আইসিইউতে। পরেরদিনই যুবকের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ওই যুবক মারা যান। রিপোর্ট হাতে আসার পরই জানা যায় ওই যুবক করোনা আক্রান্ত। তারপরই তাঁর সংস্পর্শে আসা ৮৫ জনকে পাঠানো হয় কোয়ারেন্টাইনে। সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় হাসপাতাল। দু’দফায় পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পরেই জানা যায় তাঁদের কারও রিপোর্ট করোনার নমুনা মেলেনি।

[আরও পড়ুন: লকডাউনে ঝাঁপ বন্ধ সেলুনের, গরম থেকে বাঁচতে বাড়িতেই নেড়া হওয়ার ধুম ছোট-বড় সকলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ