সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে সময় কম। নবান্নে শুরু হয়ে গেল পুরভোটের তৎপরতা। সরকারের প্রকল্পগুলি কতটা বাস্তবায়িত হল, তার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে জেলাশাসকদের কাছে। চলতি মাসের মধ্যেই সেই রিপোর্ট নবান্নে জমা দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে। এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে জেলাগুলিতে।
রাজ্যে দ্বিতীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আমলে চালু হওয়া প্রকল্পগুলি কীভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে, কোথায় কারা তার সুবিধা পাচ্ছেন, এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের কোনও অভিযোগ আছে কি না, সমস্তটা বিশদে জানিয়ে রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে প্রত্যেককে জেলাশাসককে। একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে তা নথিবদ্ধ করতে হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের ২৩ জেলা থেকে এই রিপোর্ট পাওয়ার পর তা নিয়ে তৈরি হবে পুস্তিকা। যা আসন্ন পুরভোট এবং বিধানসভার আগে প্রচারের কাজে লাগাবে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ‘ব্রাত্য’, ফের অপমানিত রাজ্যপাল]
ভোটে জিততে তৃণমূলের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক প্রকল্প। পঞ্চায়েত হোক বা পুরসভা-বিধানসভা নির্বাচন, সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিতেই বারবার জোর দিয়ে প্রচারে নামেন মমতা নিজে। তাঁর চালু করা প্রকল্পগুলির সুবিধা সর্বস্তরে পৌঁছে যাচ্ছে কি না, সকলে তাতে উপকৃত হচ্ছেন কি না, এমনকী প্রকল্পের সুবিধা পেতে গিয়ে আমজনতাকে কোনওরকম অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে কি না, সেসবের খুঁটিনাটি খোঁজও রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। নিয়মিত জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেতে তাঁর প্রশাসনিক বৈঠক।
তারই সুফল কাজে লাগাতে চায় রাজ্যের বর্তমান শাসকদল। গত তিন অর্থবর্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পগুলির সাফল্যের খতিয়ান এবার বিস্তারিত আকারে নবান্নকে জানাবেন জেলাশাসকরা। এ মাসের মধ্যেই তা পাঠিয়ে দিতে হবে রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক দপ্তরে। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এই নির্দেশিকা পেয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে জেলা প্রশাসনেও। নিখুঁত রিপোর্ট না হলে, কড়া শাস্তি হতে পারে। আর এই নির্দেশিকা থেকেই স্পষ্ট, পুরভোটকে সামনে রেখে তৎপরতা শুরু করেছে নবান্ন।