Advertisement
Advertisement
Behala double murder

বেহালায় মা-ছেলেকে গলার নলি কেটেই হত্যা, ময়নাতদন্তে উঠে এল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য

মিলছে না একাধিক মিসিং লিংক, ঘনাচ্ছে রহস্য।

New clues emerging in Behala double murder | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:September 8, 2021 10:16 am
  • Updated:September 8, 2021 2:02 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেহালার (Behala) পর্ণশ্রীতে মা-ছেলে খুনের ঘটনায় ক্রমেই ঘণীভূত হচ্ছে রহস্য।তাঁদের খুনের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, গলার নলি কেটেই খুন করা হয় সুস্মিতা মণ্ডল (৪৫) ও তাঁর ছেলে তমোজিৎ মণ্ডলকে (১৩)। একই সঙ্গে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, তাঁদের শরীরে কেমিক্যাল কিংবা মাদক জাতীয় কিছু পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ তাঁদের খুন করার সময় সম্পূর্ণ জ্ঞান ছিল। প্রতিহিংসার কারণেই খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছে পুলিশ।

সোমবার রাত সওয়া ন’টা নাগাদ পর্ণশ্রীর সেনপল্লি এলাকার গোপাল মিশ্র রোডের বহুতল ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় মা ও ছেলের রক্তাক্ত দেহ। তারপর থেকেই এলাকায় ছড়ায় চাঞ্চল্য। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার স্বামী তপন মণ্ডলকে আটক করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তাঁর বয়ানে একাধিক অসংগতি পাওয়া গিয়েছে। বাড়ির কোলাপ্সেবল দরজার ডুপ্লিকেট চাবি কোথায় গেল, সে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তিনি। পাশাপাশি সুস্মিতা ও তমোজিতের ল্যাপটপের হদিশও পাওয়া যায়নি। যে স্মার্টফোন থেকে তমোজিৎ অনলাইন ক্লাসে যোগ দিয়েছিল, সেই ফোনেরও সন্ধান চলছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের পর এবার কাটছাঁট রাজ্যের প্রথম থেকে নবম শ্রেণির সিলেবাসেও]

প্রাথমিক রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, গলার নলি কাটা ছাড়াও সুস্মিতার শরীরে ২০ বার এবং তমোজিতের দেহে পাঁচবার ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়। তবে শরীর থেকে মাদক মেলেনি। কিন্তু তাহলে কেন তাঁরা আঘাত প্রতিহত করার চেষ্টা করেননি, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। দু’জনের পাকস্থলীতেই খাবার পাওয়া গিয়েছে।

তপন মণ্ডলের বাড়ি

পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল ৩টে থেকে ৫ টার মধ্যে খুন করা হয়েছে মা ও ছেলেকে। খুনের ধরন দেখেই পুলিশের অনুমান, আক্রোশেরই শিকার হয়েছেন তাঁরা। এর সঙ্গে ডাকাতির সম্পর্ক কার্যত নেই। কারণ বাড়ির বিভিন্ন জিনিস লন্ডভন্ড থাকলেও ডাকাতির প্রমাণ মেলেনি। সন্দেহ বাড়িয়েছে স্বামীর আংটিতে দাগও। তা রক্তের দাগ কি না, নিশ্চিত হওয়ার জন্য আংটিটি পাঠানো হয়েছে ফরেনসিকে। যদিও মৃতা সুস্মিতার বাবার দাবি, জামাই খুন করতেই পারেন না।

[আরও পড়ুন: ফের মতবদল! ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস, সিদ্ধান্ত AICC’র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement