সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মহত্যা বা অন্য কোনও কারণে নয়, ৫ বছর আগে প্রেসিডেন্সির মেধাবী ছাত্রী সুমন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়েছিল গ্যাস লিকের জেরেই। হস্টেলের ঘরে দমবন্ধ হয়ে ছাত্রীর মৃত্যুর নেপথ্যে দায়ী গ্রেটার গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশন (Greater Gas Supply Corporation)। এভাবেই পরিবেশ আদালতের বিচারে দোষী সাব্যস্ত হল গ্যাস সংস্থা। শাস্তিস্বরূপ মৃত ছাত্রীর পরিবারকে ৬৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল গ্রেটার গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশনকে। এই টাকা একমাসের মধ্যে তুলে দিতে সুমন্তিকার পরিবারকে।
২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর কাছে হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সুমন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ। অচৈতন্য অবস্থায় ঘরে পড়েছিল আরও এক ছাত্রী। তড়িঘড়ি দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি সুমন্তিকাকে। জলপাইগুড়ির ছাত্রীর অকালমৃত্যুতে সেসময় তোলপাড় হয়েছিল। কীভাবে মৃত্যু, তা নিয়ে উসকে উঠেছিল একাধিক জল্পনা। তদন্তের সময় ফরেনসিক টিম বুঝতে পারে, হস্টেলের পাশে গ্যাস লিকই মৃত্যুর কারণ। সেসময় ওই এলাকায় গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে ছিল গ্রেটার গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশন। তাদের গাফিলতির অভিযোগ উঠে আসে এই ঘটনায়।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে ওই গ্যাস সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় গ্রিন ট্রাইবুনালে (National Green Tribunal)। দীর্ঘ ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে সওয়াল-জবাব। শেষপর্যন্ত গ্রেটার গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশনকে দোষী সাব্যস্ত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল পরিবেশ আদালত। একমাসের মধ্যে সুমন্তিকার পরিবারকে ৬৪ লক্ষ টাকা তুলে দিতে হবে এই গ্যাস সংস্থাকে। পরিবেশ আদালতের এই রায় সুমন্তিকা ন্যায়বিচার পেল বলে মনে করছে তার পরিবার এবং বন্ধুরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.