সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুবনেশ্বর-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস মামলায় তৃণমূল নেতা ছত্রধর মহাতোর (Chhatradhar Mahato) এনআইএ (NIA) হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল। ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে এনআইএ বিশেষ আদালত। রবিবার লালগড়ে (Lalgarh) ছত্রধরের বাড়িতে হানা দিয়ে ৪০ জনের এনআই দল তাঁকে গ্রেফতার করে। সেদিন এনআইএ বিশেষ আদালত বন্ধ থাকায় ছত্রধরকে তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে (Bankshal Court)। ১৪ দিনের হেফাজত চাওয়া হলেও ২ দিনের এনআইএ হেফাজত দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত।
বাম (Left government) আমলে পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধরকে জেল থেকে ছাড়ার দাবি ওঠে। ২০০৯-এর ২৭ অক্টোবর সেই দাবিতে ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস আটকানোর হয়। মামলা দায়ের হয় ছত্রধরের বিরুদ্ধেও। ২০০৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। যেখানে লালগড়ের সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনের ঘটনায় ছত্রধর-সহ মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় মামলা দায়ের হয়। ২০১০ সালে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। পরে ছত্রধর জামিনও পান।
এনআইএ-র দাবি, রাজধানী এক্সপ্রেস মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কয়েক জন ছত্রধরের নাম নিয়েছেন। তাই ছত্রধরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার ডাকা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি আসছিলেন না। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করে এনআইএ বিশেষ আদালত।
জঙ্গলমহলের ভোটের পরের দিন ২৮ মার্চ ছত্রধরকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তাঁর স্ত্রী নিয়তি মাহাতো অভিযোগ করেছেন, এর পিছনে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত রয়েছে। ছত্রধর মাহাতোর আইজীবী কৌশিক সিনহার দাবি করেন, “এই গ্রেপ্তার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। এখন সবাই ছত্রধর মাহাতোর রাজনৈতিক অবস্থান জানেন। সেই কারণেই দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে তাঁকে এভাবে গ্রেপ্তার করল এনআইএ।” আগামী ৬ এপ্রিল তাঁকে ফের এনআইএ বিশেষ আদালতে তোলা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.