ছবি: প্রতীকী
অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: দত্তক দেওয়ার নামে শিশু বিক্রির অভিযোগ। তার বিনিময়ে বেসরকারি হোম কর্তৃপক্ষের একাংশের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। হাওড়ার সালকিয়ার ঘটনায় পুলিশের জালে ৯ জন। ধৃতদের মধ্যে হাওড়ার (Howrah) প্রাক্তন ডেপুটি মেয়রের পুত্রবধূ এবং একজন সরকারি আধিকারিকও রয়েছেন।
স্থানীয়দের দাবি, হাওড়ার সালকিয়ার ওই বেসরকারি হোমে একেবারে সদ্যোজাত শিশুরাও থাকত। এই হোম থেকে নিঃসন্তান দম্পতিরা শর্তসাপেক্ষে শিশুদের দত্তক নিতে পারতেন। অনলাইনেই দত্তক নিতে পারতেন তাঁরা। অভিযোগ, সেই সুযোগকে হাতিয়ার করে শিশুবিক্রির জাল বিছিয়েছিল বেশ কয়েকজন। তারা শিশুদের দত্তক দেওয়ার নাম করে বিক্রি করে দিত। কোনও কোনও শিশুর উপর যৌন নির্যাতন চলত বলেও অভিযোগ।
দীর্ঘদিন ধরেই ওই বেসরকারি হোমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। সে কারণে হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে তদন্ত শুরু হয়। একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়। হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার সি সুধাকরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী শুক্রবার রাতে ওই হোমে অভিযান চালায়। স্থানীয়রা জানান, পুলিশকর্মীরা আচমকাই হোমে হানা দেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হোমে থাকা প্রত্যেক শিশুকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ৯ জনকে পুলিশের গাড়িতেও তোলা হয়। ধৃতদের মধ্যে একজন সরকারি আধিকারিক রয়েছেন। হাওড়ার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মিনতি অধিকারীর পুত্রবধূ গীতশ্রীও রয়েছে সেই তালিকায়।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রায় সকলেই। বেসরকারি হোম থেকে শিশু বিক্রির অভিযোগে ধৃতদের কঠোর শাস্তির দাবি প্রায় সকলেরই। অভিযুক্তরা অবশ্যই শাস্তি পাবে বলেই জানান নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। এর আগে জলপাইগুড়ির হোম কাণ্ডেও একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছিল। হাওড়ার হোম কাণ্ডের জাল ঠিক কতটা গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.