Advertisement
Advertisement

Breaking News

Nursing home authority Health card

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বেঁধে দেওয়া চিকিৎসার খরচ বাড়ানোর আরজি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও প্রত্যাখ্যানের ঘটনা সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার।

Nursing home authority requested to increase package of treatment in health card ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 28, 2020 10:07 pm
  • Updated:December 28, 2020 10:07 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে কোন চিকিৎসার জন্য ঠিক কত টাকা দাবি করা যাবে, সেই সংক্রান্ত খরচা বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। আর তা নিয়ে তীব্র অসন্তুষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার এ বিষয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই খরচ বাড়ানোর দাবি জানালেন বেসরকারি হাসপাতালের কর্তারা।

বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজ্য সরকারের নির্ধারিত খরচের তালিকা খুবই সামান্য। অপারেশনের মাধ্যমে প্রসবের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বেঁধে দেওয়া খরচ মাত্র ৭ হাজার টাকা। গলব্লাডারে স্টোনের অপারেশনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত খরচ ১০ হাজার টাকা। যেকোনও বড় নার্সিংহোমের ক্ষেত্রে ওই টাকায় অস্ত্রোপচার করা কার্যত অসম্ভব বলেই দাবি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তাদের দাবি, একটি বড় হাসপাতালে রক্ষণাবেক্ষণ, কর্মীদের বেতন-সহ একাধিক খরচ সামলে এই স্বল্প পয়সায় কোনও রোগীর চিকিৎসা করা কার্যত অসম্ভব।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ‘পুলিশ-শিক্ষক’ ইন্সপেক্টরের, শোকাহত ‘ছাত্র’ অফিসাররা]

তাই অনেক ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা রোগী প্রত্যাখ্যানের অভিযোগও সামনে আসছে। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনায় সোমবার স্বাস্থ্যভবনে স্বাস্থ্যসচিব এবং অধিকর্তার সঙ্গে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ওই বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমস্যার কথা তুলে ধরে। এমনকী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্যাকেজ বাড়ানোরও দাবি জানান তাঁরা। এছাড়াও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্বল্প প্যাকেজে রোগীর চিকিৎসা করার পরেও টাকা পেতে অনেক দেরি হচ্ছে। বকেয়া টাকা যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিটিয়ে দেওয়া যায় সেই আরজিও জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

গত ২০১৬ সালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সময় যদিও নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠির ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুযোগসুবিধা ভোগ করতেন কিছু সংখ্যক মানুষ। তবে চলতি বছরে দিনকয়েক আগে রাজ্যের প্রত্যেক পরিবারকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাধীন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকার সুবিধা পাবেন রাজ্যবাসী। ১৫০০ বেসরকারি হাসপাতালে মিলবে পরিষেবা। সেই স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে জটিলতা মেটাতে তৎপর রাজ্য সরকার।

[আরও পড়ুন: বাংলায় হাজার মেলা হলেও জব ফেয়ার হয় না, বেকারত্ব ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা বিজেপির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ