ছবি: প্রতীকী।
অর্ণব আইচ: গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে (Gariahat double murder case) বড়সড় সাফল্য। পুলিশের জালে আরও এক অভিযুক্ত। ধৃতের নাম সঞ্জয় মণ্ডল। শুক্রবার ভোর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পারুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। আজই তোলা হবে আদালতে। সূত্রের খবর, ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করবে কলকাতা পুলিশ।
গড়িয়াহাট কাণ্ডে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। তাদের মধ্যে রয়েছে মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারের মা মিঠু। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছিল। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হানা দেয় পারুলিয়ার জয়দেবপুরে। শুক্রবার ভোররাতে সেখানে রমা বৈদ্য নামে একজনের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পেশায় টোটো চালক সঞ্জয়কে। আজ তাকে তোলা হবে আদালতে।
কিছুদিন আগেই গড়িয়াহাটের কাকুলিয়ার দোতলা বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এক শিল্পকর্তা-সহ দুজনের রক্তাক্ত দেহ। তদন্তে নেমেই মিঠু হালদার নামে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা যায়, ওই মহিলা ও তার ছেলেই ঘটনার মূল চক্রী। এরপরই বাপি দাস ও জাহির গাজি নামে দু’জনকে পাথরপ্রতিমা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে এখনও হদিশ মেলেনি মূল অভিযুক্ত ভিকির। তাকে হেফাজতে নিতে পারলেই ঘটনার শিকড়ে পৌঁছনো যাবে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, খুনের পর ভিকি নাইট ডিউটি করেছিল। অন্যান্য দিনের মতোই সারারাত ধরে কাজ করে সে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ডিউটি করে। অফিসের অন্য কর্মীরা পুলিশকে জানান, তার চোখমুখে কোনও ভয়ার্ত ভাব বা অন্য পরিবর্তন কেউ দেখতে পাননি। অত্যন্ত স্বাভাবিক ছিল সে। সোমবার ডিউটি সেরে বিকেলে ডায়মন্ড হারবারের বাড়িতে পৌঁছে মাকে জোড়া খুনের বিস্তারিত বিবরণ দেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.