Advertisement
Advertisement

Breaking News

নওরোজ

দোলেই কলকাতার পারসি সম্প্রদায় মাতল নববর্ষ উদযাপনে

নওরোজের দিন উৎসবে শামিল পারসিরা।

Parsi community celebrates New Year coinciding with Holi
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:March 22, 2019 11:52 am
  • Updated:March 22, 2019 11:55 am

স্টাফ রিপোর্টার: ইরানীয় ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দোলের দিন পড়েছিল পারসিদের নববর্ষ। আর তাই সারা দেশ তথা বাংলা যখন মেতে উঠেছিল রঙের খেলায়, কলকাতার পারসি সম্প্রদায় মাতল তাঁদের নববর্ষ উদযাপনে। এবছর ২১ মার্চ ইরানিয় ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পারসিরা তাঁদের নতুন বছরকে স্বাগত জানান। আর দোলের দিনের সঙ্গে সেই তারিখ মিলে যায়। পারসিদের এই নববর্ষ পালনকে বলা হয় নওরোজ। নববর্ষ বা নওরোজের পালনের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই জোরকদমে শুরু হয়ে যায় উৎসবের প্রস্তুতি। কলকাতার যে অঞ্চলে পারসি সম্প্রদায়ের বসবাস, সেই অঞ্চল সেজে ওঠে। আর নওরোজের দিন সেখানে উৎসবে শামিল হন সব পারসি।

[অনশনের একুশতম দিনে গণ কনভেনশনে এসএসসি প্রার্থীরা, অসুস্থ ২]

Advertisement

কলকাতার আড্ডা, নাটক, গান, গল্প, নাচ, সিনেমা, খেলা- এসবের সঙ্গে ওতপ্রোতোভাবে জড়িয়ে গেলেও কিংবা এখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে সেভাবে মিশে গিয়েও নিজেদের স্বতন্ত্র বজায় রেখেছেন পারসিরা। অপরিচিত শহর ধীরে ধীরে পারসিদের কাছে হয়ে ওঠেছে আপন। নিজেদের ধর্ম, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য বাঁচাতে ইরান ছেড়ে আসতে বাধ্য হলেও অন্তরে প্রতিনিয়ত ছেড়ে আসা দেশকে বহন করছেন তারা। জন্মভূমি ছেড়ে পারসিদের যে অংশটি ভারতে চলে এসেছিল, প্রথমটায় তাঁরা এসে পৌঁছন গুজরাতের সানজান বন্দরে। এদেশে আসার পর গুজরাতের রাজাই তাঁদের প্রথম আশ্রয় দেন। ভারতবর্ষ তথা কলকাতায় দীর্ঘদিন বসবাস করলেও পার্সিরা তাঁদের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন নিজেদের মধ্যে। দীর্ঘকালযাবৎ বজায় রেখে চলেছেন পারসি সংস্কৃতির ধারা। তাই প্রত্যেকবারের মতো এবারও তাঁরা নববর্ষ উৎসবে শামিল হন। কলকাতায় যখন পারসিদের এমন উৎসব  চলছে, ইরান অর্থাৎ ইরানিদের মূল ভূখণ্ডও তখন মেতে উঠেছে তাদের নববর্ষ পালনে।

Advertisement

[বেলেল্লাপনা রুখতে শহরে টোটোয় টহলদারি পুলিশের, নজর থাকছে সংলগ্ন শহরতলিতেও]

ভারতে থাকা পারসিরা জোরোয়াস্ত্রিয়ানিজম্-এ বিশ্বাসী, যা ধর্মের সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় ৩,৫০০ বছর আগে জরাথ্রুস্টের হাত ধরে। ভারতে বসবাসকারী এই জোরোয়াস্ত্রিয়ানজরা তাদের বর্ষবরণের দিনটিকে ‘জামশেদ-ই-নওরোজ’ হিসেবে পালন করেন। বর্ষবরণের এই বিশেষ নামকরণের নেপথ্যেও রয়েছে এক মজাদার কারণ। আসলে, পারসিয়ান সম্রাট জামশেদ, যিনি কিনা পারসিয়ান ক্যালেন্ডারের সৃষ্টিকর্তা, তাঁকে সম্মান জানানোর উদ্দেশেই তাঁর নামানুসারে এই দিনটির এহেন নামকরণ করা হয়।

‘জামশেদ-ই-নওরোজ’-কেই সংক্ষেপে বলা হয় নওরোজ। বৃহস্পতিবার যেখানে কলকাতাবাসীরা মেতে উঠেছিলেন দোল খেলায়, সেখানে কলকাতার পারসিরা তাঁদের ঐতিহ্য অনুযাযী উদযাপন করলেন পারসি নববর্ষ। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ