সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ রাজভবনে দু’জনের বৈঠক হওয়ার কথা। ওই বৈঠকে শিক্ষা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
দায়িত্ব গ্রহণের পরই জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেই বৈঠকে যোগ দেননি কেউই। তার জেরে রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের মধ্যে তৈরি হয় সংঘাত। তারপর থেকে একাধিক ঘটনায় বেড়েছে দু’পক্ষের দূরত্ব। শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপাল তথা আচার্যের হস্তক্ষেপ নিয়েও তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। বারবার রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে উপাচার্যদের বৈঠকে ডাকা এবং রীতিমতো নজির গড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের বৈঠকে অংশ নিয়েও নবান্ন-রাজভবন সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এরপরই রাজ্য বিধানসভায় বিল পেশ করে শিক্ষাক্ষেত্রে আচার্যের ক্ষমতা খর্ব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, উপাচার্যদের রাজ্যপালের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে যোগ দিতেও বারণ করে দেওয়া হয়েছে। তাই গত মাসে রাজ্যপাল বৈঠক ডাকা সত্ত্বেও যোগ দেননি কেউই। সম্প্রতি যাদবপুর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গিয়েও ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন জগদীপ ধনকড়।
তবে তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ রাজ্যপালের। শিক্ষাক্ষেত্রে জগদীপ ধনকড়ের হস্তক্ষেপকে যে মোটেও ভাল চোখ দেখছেন না, তা স্পষ্ট ভাষায় একাধিকবার জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: শাহিনবাগে গুলি চালানোর প্রতিবাদ, বিক্ষোভে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা]
এই আবহেই রবিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রাজভবনে বৈঠকে ডাকেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, সকাল ১০টা অথবা দুপুর ৩টে ঠিক কখন দেখা করতে পারবেন তিনি, সেই অনুযায়ী সাক্ষাতের কথা বলেন জগদীপ ধনকড়। জানা গিয়েছে, দুপুর ৩টে নাগাদ দেখা করবেন বলেই জানান শিক্ষামন্ত্রী। সামনেই রাজ্য বাজেট। রাজ্য বিধানসভায় উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন রাজ্যপাল। তার আগে এই সাক্ষাৎ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এছাড়াও শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সাধারণতন্ত্র দিবসে রেড রোডে বাক্য বিনিময়ের পর রাজ্যপালের আমন্ত্রণে চা চক্রেও যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এবার পালা শিক্ষামন্ত্রীর। তবে কি রাজ্য এবং রাজভবন সম্পর্কের শীতলতা কাটছে, রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর গুঞ্জন।