Advertisement
Advertisement
রোগীমৃত্যু

চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জের, শহরে বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন মহিলা

ক্যানিং থেকে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন তিনি।

Patient dies without treatment as doctors stage protest in Kolkata

প্রতীকী ছবি।

Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:June 12, 2019 3:41 pm
  • Updated:June 12, 2019 3:42 pm

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: রোগীর অবস্থা গুরুতর। কিন্তু চিকিৎসা করবে কে! কর্মবিরতি কারণে শহরের কোনও হাসপাতালেই ডাক্তার নেই। বেঘোরে মারা গেলেন বছর একত্রিরিশের এক তরুণী।

[আরও পড়ুন: বিজেপির লালবাজারে অভিযানে ধুন্ধুমার, জল কামান ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ল পুলিশ]

মৃতার নাম শিখা গোমস্তা। বাড়ি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘুটিয়ারি শরীফের বাঁশড়া এলাকায়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিখাকে প্রথমে ভরতি করা হয় ঘুটিয়ারি শরীফের গ্রামীণ হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। এদিকে ততক্ষণে শিখা গোমস্থার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। ঝুঁকি নিতে রাজি হননি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎকরা। রোগীকে পত্রপাঠ কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়ে দেন তাঁরা।

Advertisement

এদিকে এনআরএস কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার ১২ ঘণ্টার কর্মিবিরতি পালন করছেন কলকাতা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা। বন্ধ আউটডোর বিভাগ। এমনকী, অপারেশনও না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। খোলা কেবলমাত্র জরুরি বিভাগ। ক্যানিংয়ের শিখা গোমস্তার পরিবারের দাবি, ওই যুবতীকে নিয়ে তাঁরা যখন চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছান, তখন হাসপাতালে কোনও ডাক্তার ছিলেন না। ভরতি নেওয়ার দুর অস্ত, ন্যূনতম চিকিৎসাও মেলেনি। শিখাকে নিয়ে শহরের আরও বেশ কয়েকটি হাসপাতালে যান পরিবারের লোকেরা। কিন্তু কোথাও তাঁকে ভরতি নেওয়া হয়নি। বস্তুত, বিক্ষোভকারীকে হাসপাতালে ঢুকতেই দেননি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই শিখা গোমস্তাকে ফের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কলকাতা থেকে ক্যানিং নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান শিখা গোমস্তা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত রোষ, মুর্শিদাবাদে কুপিয়ে সহকর্মীকেই খুনে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ