Advertisement
Advertisement

Breaking News

একই দিনে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা, তৃণমূলকে চাপে ফেলতে তৎপর বিজেপি

সাম্প্রতিককালে এই ঘটনা নজিরবিহীন বলছে রাজনৈতিক মহল।

 PM Modi and Rajnath Singh's joint meeting in West Bengal
Published by: Tanujit Das
  • Posted:January 31, 2019 9:43 pm
  • Updated:January 31, 2019 9:47 pm

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দক্ষিণে নরেন্দ্র মোদি। উত্তরে রাজনাথ সিং। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি গণতন্ত্র বাঁচাও সভা করতে বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ রাজ্যে একইদিনে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা সাম্প্রতিককালে নজিরবিহীন। এর আগে একইদিনে পশ্চিমবঙ্গে দলীয় সভায় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছেন কি না এমনটা মনে করতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও। ২ ফেব্রুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর এবং দুর্গাপুরে মোট দু’টি সভা করবেন মোদি। ওইদিনই কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে আসছেন রাজনাথ সিং।

[রক্ত পরীক্ষার ভুল রিপোর্টে এইডসের আতঙ্ক ছড়াল হাওড়ায় ]

Advertisement

এবার লোকসভা নির্বাচনে বাংলা যে বিশেষ টার্গেট তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পশ্চিমবঙ্গে এসে দলকে ২৩টি আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বস্তুত, লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গকে ‘পাখির চোখ’ করেছে বিজেপি। অন্য রাজ্য থেকে আসনের ঘাটতি বাংলা থেকে অনেকটাই পুষিয়ে নিতে চায় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। লোকসভা ভোট পর্যন্ত রাজ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৩১০টি সভা করবে বিজেপি। আর সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই দু’টি সভা করে গিয়েছেন অমিত শাহ। একাধিক সভা করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ থেকে শুরু করে শিবরাজ সিং চৌহানরাও আসবেন। তার আগে ২ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণবঙ্গে দু’টি সভা করছেন নরেন্দ্র মোদি। ওইদিন মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রাজনাথ সিংকে দিয়ে উত্তরবঙ্গে দু’টি সভা করিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে লোকসভা ভোটের আগে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ৩ ফেব্রুয়ারি হুগলিতে আরও একটি সভা করার কথা রাজনাথ সিংয়ের। আর মার্চের শেষে হবে প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড সমাবেশ।

Advertisement

[‘বিশ্বের সেরা উৎসব’, কলকাতা বইমেলার উদ্বোধনে আবেগাপ্লুত মমতা]

প্রধানমন্ত্রী ঠাকুরনগরে আসার একদিন আগে বৃহস্পতিবার সকালে ট্রায়াল রান হল হেলিকপ্টারের। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হেলিপ্যাড তৈরির কাজ হচ্ছে। পাশাপাশি তিনটি হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ঠাকুরনগরে সভা করতে আসছেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের ডাকে। ওইদিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে মতুয়া ধর্মগুরুদের দ্বাদশ বানী সম্বলিত একটি স্মারক তুলে দেওয়া হবে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের পক্ষ থেকে। এমনটা জানিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। বড়মার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দেখা করবেন কি না সে প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য, “এটা প্রধানমন্ত্রীর সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রী আসা মানে অনেক সরকারি নিয়মকানুন থাকে।” এদিকে, সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরে আসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সঙ্গে ছিলেন মুকুল রায়। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব শরণার্থী এসেছেন, তাঁরা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান বা ইহুদি হোন, তাঁরা সকলেই নাগরিকত্ব পাবেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লোকসভায় পাস হয়েছে। এজন্য শান্তনু ঠাকুর প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এখানে তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য। মতুয়া সমাজ, নমঃশূদ্র সমাজ প্রধানমন্ত্রীকে এখানে অভিনন্দন জানাবে।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ