BREAKING NEWS

২৫ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  শুক্রবার ৯ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

গা ঢাকা দিয়েও হল না শেষরক্ষা, বেহালা কাণ্ডে গ্রেপ্তার বহিষ্কৃত তৃণমূল যুব নেতা-সহ ৭

Published by: Sayani Sen |    Posted: April 17, 2022 10:22 am|    Updated: April 17, 2022 10:47 am

Police arrested main accused in Behala bombing and chaos case । Sangbad Pratidin

অর্ণব আইচ: বেহালা কাণ্ডে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাপন। তার সঙ্গে থাকা আরও ৬ যুবককেও গ্রেপ্তার করেছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা। হাওড়া গ্রামীণ এলাকার জয়পুরে একটি খামার বাড়ি থেকে পাকড়াও করা হয় তাদের। ধৃতদের রবিবার আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঘটনার সূত্রপাত গত ১২ এপ্রিল। বেহালার (Behala)চড়কতলায় যেখানে মেলা হয়, সেই মাঠের দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে শুরু হয় চাপানউতোর। ১২১ নং ওয়ার্ড এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা, হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাতের দিকে চলে বোমাবাজি। ভাঙচুর হয় তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস। এরপর অশান্তি আরও চরমে ওঠে। এলাকায় দিনভর জারি ছিল উত্তেজনা। তারপর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় বেহালার ১২১ নং ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি সোমনাথ ওরফে বাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

[আরও পড়ুন: মহেশতলায় বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে মৃত্যু একই পরিবারের ৩ সদস্যের]

বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত বাপনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে বেহালার চড়কতলা। স্থানীয় বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি ও কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখান দলের একাংশ। এরপর ঘটনার গুরুত্ব বুঝে রত্নাকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান। ঘটনায় প্রকৃত দোষী অবশ্যই যথাযথ শাস্তি পাবে, এমনই আশ্বাস দেন তিনি।

তৎপরতার সঙ্গে অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। ঘটনার পাঁচদিনের মাথায় হাওড়া গ্রামীণ এলাকার জয়পুরের ধড়দুবড়া এলাকা থেকে সোমনাথ-সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা। সোমনাথ ছাড়া বাকি ধৃতেরা হল বিপ্লব ভর, দেবরাজ ওরফে রানা, বাপি ভুঁইঞা, বীর বিজয়, সুপ্রিয় সেনগুপ্ত ওরফে বাবাই, সুমন পাল। ধৃতদের রবিবার আলিপুর আদালতে তোলা হবে। তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার ভাবনাচিন্তা তদন্তকারীদের।

তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, বেহালা কাণ্ডের পর পুলিশের চোখে ধুলো দিতে বাণিজ্যিক গাড়িতে চড়ে এলাকা ছাড়ে ওই সাত অভিযুক্ত। প্রথমে বারাসতে চলে যায় তারা। সেখান থেকে ওড়িশার বালেশ্বর হয়ে দিঘায় পৌঁছয় সোমনাথ-সহ সাতজন। এরপর এক পরিচিতের সঙ্গে যোগাযোগ করে জয়পুরে এসে পৌঁছয় তারা। সেখানেই একটি খামারবাড়িতে থাকছিল সকলে। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে জয়পুর থেকেই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

[আরও পড়ুন: প্রসূতির মৃত্যুতে ধুন্ধুমার কৃষ্ণনগরে, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে নার্সিংহোমে ভাঙচুর]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে