Advertisement
Advertisement
Police gets some new information about Dipesh in Bhawanipur double murder case

ভিক্ষুকের বেশে গা ঢাকা, ভবানীপুর জোড়া খুনের মূল অভিযুক্ত দীপেশের বান্ধবীকে জেরায় নয়া তথ্য

গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়েছিল দীপেশ।

Police gets some new information about Dipesh in Bhawanipur double murder case । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 8, 2022 2:20 pm
  • Updated:July 8, 2022 2:20 pm

স্টাফ রিপোর্টার: লিভ ইন পার্টনারের সূত্র ধরেই ভিনরাজ্যে তল্লাশি চালিয়ে ভবানীপুরের জোড়া খুনের মূল অভিযুক্তর সন্ধান চালাচ্ছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। প্রায় এক মাস আগে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডে ব্যবসায়ী অশোক শাহ ও তাঁর স্ত্রীকে কুপিয়ে ও গুলি চালিয়ে খুন এবং তাঁর বাড়িতে ডাকাতি করা হয়। ঘটনার পর এই চক্রের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল অভিযুক্ত দীপেশ শাহ পালিয়ে যায়। তার সন্ধানে গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে তল্লাশি। সম্প্রতি সে ভিক্ষুক অথবা সন্ন্যাসীর ভেক ধরে মহারাষ্ট্রের একটি জায়গায় গা ঢাকা দিয়েছে, এমন খবরও এসেছে পুলিশের কাছে।

তদন্তে পুলিশ জেনেছে, গত বছর থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার আক্রার বাসিন্দা এক যুবতীর সঙ্গে লিভ ইন করত দীপেশ। এমনকী, কয়েক মাস আগে ওই যুবতীকে দীপেশ গুজরাটে বেড়াতেও নিয়ে যায়। যদিও কারও বাড়িতে না থেকে গুজরাটের বিভিন্ন শহরের হোটেলে থেকে যুবতীকে নিয়ে ঘোরে। বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে মোটা টাকা ঋণ নিয়ে সেই টাকায় বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরে বেড়াত। খুনের জন্য ওই ঋণদাতাদেরই কাজে লাগায় সে। তার মোবাইলের কললিস্টের সূত্র ধরে গোয়েন্দা পুলিশ ওই বান্ধবীর সন্ধান পায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নূপুর শর্মার পর পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য আরও এক BJP নেতার, তড়িঘড়ি বহিষ্কার দলের]

যুবতী লালবাজারের গোয়েন্দাদের জানান, গত মাসে হঠাৎই দীপেশ জানায়, তার কাছে থাকা টাকা ফুরিয়ে গিয়েছে। তাই এখন বান্ধবীর কাছে যাবে না। এর পর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ। গোয়েন্দারা জেনেছেন, এর আগেও গুজরাটে তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের হয়। তখন দীপেশ ভিক্ষুক সেজে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বেড়াত। তখন রাস্তা থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গোয়েন্দাদের ধারণা, এবারও হয়তো সে মহারাষ্ট্রের কোথাও সন্ন্যাসী বা ভিক্ষুক সেজে রয়ে গিয়েছে। আবার সে গুজরাট বা মধ্যপ্রদেশেও পালাতে পারে বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। তাই এই তিন রাজ্যের বিভিন্ন শহরে সেখানকার পুলিশের সাহায্য নিয়ে ভিক্ষুক ও নতুন আসা সন্ন্যাসীদের উপর নজর রাখছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। নজরদারি চলছে সেখানকার নিষিদ্ধপল্লিগুলিতেও। সেখানেও তার আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।

Advertisement

তবে গোয়েন্দাদের মতে, কলকাতা বা বারাকপুর অঞ্চলে দীপেশের কোনও আত্মীয় বা পরিজন না থাকলেও এখানে তার বড় ভরসা ওই লিভ ইন পার্টনার যুবতী। তাই টাকার জন্য সে আক্রার বাসিন্দা যুবতীর সঙ্গে ফের যোগাযোগ রাখতে পারে বলে ধারণা গোয়েন্দাদের। তাই ওই যুবতীর সূত্র ধরেই গোয়েন্দারা পলাতক দীপেশের সন্ধান পেতে চান। তবে সে অন্য কোনও যুবতীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিল কি না, বা তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে কি না, জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: আপাতত অর্জুন সিংয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্যের, কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ